ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাকলী’স অ্যাটিয়্যারের মিটআপে জামদানি বউ! 

মিফতাউল জান্নাতী সিনথিয়া   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১০, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
কাকলী’স অ্যাটিয়্যারের মিটআপে জামদানি বউ! 

ক্রেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ফেসবুক পেজ ‘কাকলী’স অ্যাটিয়্যার’ আয়োজন করেছিল কাস্টমার মিটআপ-২০২০। 

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি রেস্তোরাঁয় এ মিটআপ হয়।

এতে মূল আকর্ষণ ছিল দেশীয় জামদানি শাড়িতে মডেল (সুমাইয়া বিনতে সোবহান) বউ ও বিভিন্ন জেলা থেকে মতামত জানাতে আসা ক্রেতারা। 

জামদানি বউ নিয়ে সবার আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্টেজে সবাই জামদানি বউয়ের সঙ্গে ছবি তোলেছে, সেলফি নিয়েছে। ৭০ জনেরও অধিক গেস্ট ও ৩টি স্টল নিয়ে মিটআপ ছিল অনেক প্রাণবন্ত। জামদানি শাড়ি ও খেশ চাদরের মতো পণ্য নিয়ে মোট ৬০ হাজার টাকার কেনাবেচা হয়েছে।  

এসময় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদসহ ক্রেতা ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন ঢাকার দারুস সালাম জোনের এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকি, রাইজিংবিডির উদ্যোক্তা ও ক্যাম্পাস পাতার এডিটর হাকিম মাহি, উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) ডিরেক্টর ও মডারেটর সামিয়া ফারাহ, রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়াসহ অনেকেই।  

রাজিব আহমেদ বলেন, ‘এক বছর আগে কাকলি আপুকে ঘিরে এমন কাস্টমার মিটআপের স্বপ্ন দেখা শুরু করি। তখন অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হত। আগামীতে আশা করছি ১০০ জন কাস্টমার জামদানি শাড়ি পরে সারাদিন আনন্দ করবে, ছবি তুলবে।’  

ক্রেতা হিসেবে আসা এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকি বলেন, ‘‘ব্যস্ততার জন্য আমার শপিংয়ে যাওয়া হয় খুব কম৷ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সচরাচর অনলাইনেই করে থাকি। আর জামদানি কিনতে হলে চোখ বন্ধ করে কাকলী আপুকেই কল করি। এর কারণ আস্থা৷ আমি জানি তিনি কখনো জেনে-শুনে খারাপ প্রোডাক্ট দেবেন না। কাস্টমারকে সময় দিয়ে শুনে তার চাহিদা অনুযায়ী প্রোডাক্ট দিয়ে থাকেন৷আরেকটা বড় ব্যাপার তিনি জামদানি চেনেন, বোঝেন, কারণ জামদানির বিষয়ে তার আগ্রহ আছে।

আজকের মিটআপের বিষয়ে বলবো, আপুর জামাদানি প্রমোশনের আইডিয়াটা অভিনব৷ সবাই জামদানি পরে আসবে। এতে জামদানির প্রচার বাড়বে৷ যারা কখনো জামদানি কেনেননি বা পরেননি অন্যদের দেখে তারাও কিনতে ও পরতে আগ্রহী হবে। এটা একটা নতুন ও চমৎকার আইডিয়া৷ অনেক শুভকামনা কাকলী আপু ও তার কাকলী’স অ্যাটিয়্যারের জন্য।’’

সুদূর বরিশাল থেকে আসা ক্রেতা ইশরাত জাহান বলেন, “কাকলি আপুর মিটআপ নিয়ে একটা কথাই বলবো, আপুর মিটআপের আয়োজন অনেক গোছালো ছিল। আপু এত আন্তরিক, সেটা মিটআপে না এলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না। রানিরা রানি তার কাজ ও মেধার জন্যই  হয়। 

আপুর পণ্যের ভক্ত আমি। আমি জামদানি কিনলে কাকলী আপুর থেকেই কিনবো। মিটআপে নতুনত্ব ছিল জামদানি বউ। এই নতুনত্ব আপুর হাত ধরে ছড়িয়ে যাবে সারাবাংলায়। অনেক বিয়েতে এমন জামদানি পরিহিতা বউ দেখা যাবে আশা করি।’’

আয়োজক কাকলী রাসেল তালুকদার বলেন, “আমার কাকলী’স অ্যাটিয়্যারের প্রাণ আমার কাস্টমাররা। তাদের জন্যই আমার আজকের কাকলী’স অ্যাটিয়্যার। আমার কাস্টমার মিটআপ নিয়ে আমার থেকেও আমার কাস্টমারদের আগ্রহ বেশি ছিল। যদিও এই করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে নিয়ে করা সম্ভব হয়নি। এইবার শুধু রিপিট কাস্টমারদের নিয়ে আয়োজন ছিল। ধীরে ধীরে সব কাস্টমারের জন্য এমন ইভেন্ট করার ইচ্ছে আছে। 

একটা দিন থাকবে শুধু আমার সম্মানিত কাস্টমারদের জন্য। যেদিন আমি তাদের সবার কথা শুনবো। আমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। প্রোডাক্ট/সার্ভিস নিয়ে মতামত বা পরামর্শ দেবেন। সর্বপরি দিনটা হবে কাস্টমারদের জন্য। কাস্টমারদের সঙ্গে পারস্পরিক আন্তরিকতা বৃদ্ধি, তাদেরকে খাতির করা ও তাদের মতের মূল্যায়নই এই কাস্টমার মিটআপের লক্ষ্য।

আমার মিট আপে জামদানি বউ প্রধান আকর্ষণ। রাজিব স্যারের দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমার ছোট বোন সুমাইয়া বউ সেজে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। সুমাইয়ার সহযোগিতা না পেলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না। সেজন্য সুমাইয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিয়ে বাড়ির খাবার, জামদানি বউ, সংগীত আয়োজন সবকিছু মিলিয়ে এইবারের কাস্টমার মিটআপে বিয়ে বাড়ির উৎসব আমেজ ছিল।’’

ঢাকা/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়