ফারজি ক্যাফে এখন ঢাকায়
খালিদ সাইফুল্লাহ্ || রাইজিংবিডি.কম
ফারজি ক্যাফে শুনলেই ভ্রমণপ্রিয় ও ভোজনবিলাসী মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে অত্যাধুনিক কিছু খাবারের তালিকা। কারণ, লন্ডন, দুবাই ও ভারতসহ বিশ্বের ৮টি দেশে এই ক্যাফের শাখা রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এ ক্যাফের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
ভারতীয় ও স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী খাবারকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক রেস্টুরেন্ট ফারজি ক্যাফে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে। ফারজি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন মানে হতে পারে, কিন্তু এ ক্যাফে মানে শুধুই রন্ধন প্রণালীতে ‘এক মায়াজাল সৃষ্টি’।
ফারজি ক্যাফে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র গুলশান-১ সার্কেলের পাশেই অবস্থিত। একটি ‘কোলোইডাল সিস্টেম’ অনুসরণ করে খাবার তৈরি করার মাধ্যমে আধুনিক স্পাইস বিস্ট্রোর সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ক্যাফেটি। এই সিস্টেমটিতে মলিক্যুলার গ্যাস্ট্রোনোমি পদ্ধতি অনুসরণ করে খাবারের সব উপকরণকে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, যেখানে আধুনিক বিজ্ঞানের স্পর্শে গতানুগতিক রন্ধন প্রণালীকে দেওয়া হয় এক নতুন রূপ।
আন্তর্জাতিক জনপ্রিয় খাবারগুলো ভারতীয় স্থানীয় খাবারের ছোঁয়ার মিশেলে ফারজি ক্যাফে অত্যাধুনিক রন্ধনশৈলি ও আবহে তৈরি একটি নৈশভোজ অফার করছে।
ঢাকার রসনা বিলাসে প্রতিষ্ঠিত ক্যাফেটি রাশাদুল হাসান চৌধুরীর (রনি) একটি উদ্যোগ। একজন সফল তরুণ ব্যবসায়ী হিসেবে দেশের ব্যবসায়ী মহলে রনি অত্যন্ত পরিচিত একটি মুখ। তার উদ্যোগগুলোর মধ্যে ওয়েগা জোন লিমিটেড বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা গত দুই দশকে রাজধানীর বেইলি রোডকে দিয়েছে নতুন এক রূপ।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে রনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে ভোজনবিলাসী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও রুচিতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এখন কিন্তু খাওয়ার উদ্দেশ্য শুধু উদর পূর্তিতেই সীমাবদ্ধ নয়, এটা আসলে পুরোটাই একটা অভিজ্ঞতার নাম। ফারজি ক্যাফেতে আমাদের ভোজনরসিকরা খুব পরিচিত খাবারগুলো উপভোগ করতে পারবেন সম্পূর্ণ নতুন এক স্বাদে, যাতে থাকবে খাবারের নান্দনিক, প্রযুক্তি ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির দারুণ এক মিশেল। এই অভিজ্ঞতা সব ইন্দ্রিয়কে চাঙ্গা করবে, যা আমাদের সমসাময়িকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন কিছু।’
উল্লেখ্য, ফারজি ক্যাফের উদ্যোক্তা রাশাদুল হাসান চৌধুরী (রনি) এফবিসিসিআই-এর একজন পরিচালক। তিনি সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার ছেলে।
লেখক: শিক্ষার্থী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা/মাহি
আরো পড়ুন