ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হোম মেইড খাবার বিক্রি করে লাখপতি সুমি

সাজেদুর আবেদীন শান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০৭:৩০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
হোম মেইড খাবার বিক্রি করে লাখপতি সুমি

সুমি সুলতানা, বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। সুমির বাবা-মায়ের একটাই চাওয়া লেখাপড়া যেন শেষ করেন তিনি। বিশেষ করে তার মা, যিনি সবসময় তার লেখাপড়া ও শিক্ষামূলক যে কোনো বিষয়ে খুব তাড়া দিতেন।

সুমি অর্থনীতিতে অনার্স, মাস্টার্স করেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। পেশাগত দিক থেকে একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে ১২ বছর ধরে চাকরি করছেন। সুমির স্বামী প্রকৌশলী, ঢাকাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

সুমি বলেন, ‘‘আমি বরাবরই কাজ পাগল। যখন যেখানে শেখার সুযোগ পেয়েছি, তাই শেখার চেষ্টা করেছি। অনেক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছি শুধু অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। আমার রান্নার প্রতি একটা ঝোঁক সবসময়ই ছিল। তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে, রান্নার হাতেখড়ি আমার শাশুড়ি মায়ের কাছ থেকে। শ্বশুরবাড়ির সবাই পুরান ঢাকার বলে উনারা খুব ভোজন রসিক। তাই ফ্রি ট্রেনিং তাদের কাছ থেকেই পেয়েছি। 

এছাড়াও ছোট-বড় অনেক ট্রেনিং করেছি রান্না নিয়ে। করোনাকালীন সময়ে আমার স্কুল, বাচ্চাদের স্কুল যখন বন্ধ, তখন বড্ড বিরক্তিকর জীবনযাপন করতম। তখনই আমি দেখা পাই ফেসবুক ভিত্তিক ই-কমার্স গ্রুপের। তখনই মূলত আমার উইতে আসা। সেইসঙ্গে শুরু করি ডিএসবিতে লেখাপড়া। সবার উদ্যোক্তা জীবন দেখে খুব অনুপ্রাণিত হয়েই শুরু হলো আমার নতুন কর্মজীবন।

আসলে করোনাকালীন সময়ে আমার পরিচিতরা ছিলেন, যাদের করোনা হয়েছে। কিন্তু এক বেলা রান্না করে খাবার দেওবার মানুষের বড্ড অভাব ছিল। আমি মূলত সেই কাজটাই হাসি মুখে গ্রহণ করেছিলাম। দেশের বাইরে থেকে অনেকেই ফোন দিয়ে বলতো, তার পরিবারের জন্য ঘরোয়া খাবার পাঠাতে। এত মানুষের বাসায় আমি ঘরোয়া খাবার পাঠাতাম। আমার ব্র্যান্ডিং আমার কাস্টমাররাই করে দিয়েছিল। মাত্র ৪ মাস খাবার নিয়ে কাজ করেই আমি লাখপতির খাতায় নাম লেখাতে পেরেছিলাম।’’

সুমি আরো বলেন, ‘যে কথা না বললেই না, আমার উদ্যোক্তা জীবনের প্রথম তিন মাস আমি কোনো ইনভেস্ট করিনি। আসলে শুরু করতে ভয় পাচ্ছিলাম। অর্ডার নিতে ভয় পাচ্ছিলাম। আমার স্বামী ইনভেস্ট করেছিলেন। তার একটাই কথা ছিল, তুমি শুরু করো। লাভ-লসের হিসাব করার দরকার নাই। যা লাগে আমি দেবো। আসলেই তাই হয়েছে। আমার কাজের প্রথম তিনমাস সেই সব ইনভেস্ট করেছে। আমি আজ যতটুকু এগিয়েছি, তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমি তাকেই দেবো।’

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

ঢাকা/মাহি 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়