ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ই-কমার্সে যে ধারণাগুলো থাকা প্রয়োজন

রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৫ মার্চ ২০২১  
ই-কমার্সে যে ধারণাগুলো থাকা প্রয়োজন

ই-কমার্স নিয়ে পর্যাপ্ত ও সঠিক জ্ঞানের অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ই-কমার্স সম্পর্কে জানার অভাবে এর সুবিধাগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রাথমিক দক্ষতা সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। আবার অনেকেই এর মূল ভিত্তি টেকনিক্যাল জ্ঞানকে গুরুত্ব দেন না। এসব দক্ষতার অভাবে অনেকেই ই-কমার্স ব্যবসায় বেশি দিন টিকে থাকতে পারেন না।

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে সময় নিয়ে নিজের ব্যবসা, পণ্য, পণ্যের উৎস, ডেলিভারি সম্পর্কে যথেষ্ট জানতে হবে। এ নিয়ে গবেষণা করে একটি সুন্দর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করা প্রয়োজন। অনেকেই প্রয়োজনে কিংবা অন্যের দেখাদেখি ই-কমার্স বিজনেস শুরু করেন। ফলে অনেক সময় তারা ভুল পণ্য বাছাই করেন কিংবা পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন না। এতে সেই পণ্যের মার্কেট নষ্ট, কাস্টমারের অসন্তোষ, পণ্যের ভুল প্রচারণা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ই-কমার্সের একটি অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো পণ্যের ডেলিভারি। ঢাকা কিংবা জেলা শহর থেকে ঢাকায় ডেলিভারি দেওয়া ও দেশের বাইরে ডেলিভারি দেওয়া অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক সময়ে পণ্য বা সেবার ডেলিভারি না পাওয়া, ডেলিভারির সময়ে পণ্যের ক্ষয়-ক্ষতি হওয়া, ঢাকার বাইরে ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম না পাওয়ার কারণে অনেকেই অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না। এসব কারণে ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তথ্য সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কিছুটা হুমকি থাকে। তবে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব। নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থেকে কিছুটা হলেও এমন সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।  

ই-কমার্সে টার্গেট ক্রেতা খুঁজে বের করা ও তাদের কাছে সঠিক পণ্য পৌঁছে দেওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

ক্রেতার আস্থা অর্জন করার ব্যাপারে নজর দিতে হবে। নিজের বিজনেসের প্রতি বিশ্বস্ততা অর্জন করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কারণ ই-কমার্সে পণ্য সরাসরি দেখার ও বিক্রেতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ থাকে না।

নির্বিঘ্ন ইন্টারনেট কানেকশন, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভিজ্ঞতার অভাব, ই-ব্যাংকিংয়ে অভ্যস্ততা, যোগাযোগ দক্ষতার অভাব, সঠিক হিউম্যান রিসোর্স বাছাই ইত্যাদি বিষয়গুলো ই-কমার্সের চ্যালেঞ্জ।

ই-কমার্সে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা অনেক সময় ধৈর্যের ব্যাপার। এতে একটি প্রতিষ্ঠানকে নামী ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লেগে থেকে ই-কমার্সের সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করা প্রয়োজন। এমন ব্যবসায় দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকার ধৈর্য না থাকলে ই-কমার্সে একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়ে উঠে না।  

বর্তমানে ই-কমার্স অন্যতম সম্ভাবনাময় সেক্টর। এর এই চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করে এগিয়ে গেলে ভালো দিকগুলোকে কাজে লাগানো সম্ভব। ই-কমার্সের সবচেয়ে বড় সুফল হলো দেশি পণ্যের প্রসার ও নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি। তাই একে গুরুত্ব দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

লেখক: স্বত্বাধিকারী, পরিধান শৈলী।

ঢাকা/সিনথিয়া/মাহি   

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়