ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে ই-কমার্স সেক্টর

রাকিমুন বিনতে মারুফ জয়া || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ২০ মার্চ ২০২১  
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে ই-কমার্স সেক্টর

দিন দিন ই-কমার্স ব্যবসা জনপ্রিয় উঠেছে। এর জনপ্রিয়তা যত বাড়ছে ততই এর সুফল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে এমন ব্যবসার অন্যতম দিকগুলির মধ্যে প্রধান হলো এর গ্রহণযোগ্যতা।

ই-কমার্সের ফলে পণ্যের মার্কেট দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়। কারণ, ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলোকে ভৌগলিক সীমানা ও দূরত্ব পেরিয়ে ক্রেতার কাছে কম সময়ে পৌঁছে দিচ্ছে। দেশি পণ্যের প্রসারে ই-কমার্সের এই সুফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এক জেলার পণ্য অন্য জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে সেই পণ্য গুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও কর্মসংস্থানের হার বাড়ছে।

অনলাইন ব্যবসায় পণ্যের মূল্য ক্রেতার সামর্থ্যের মধ্যে আনা সম্ভব। এছাড়াও ক্রেতা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাছাই করে কিনতে পারছে। এর ফলে প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি ও আরো নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হচ্ছে। ই-কমার্সের ফলে পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে। খুচরা ও পাইকারি উভয় পক্ষের বিক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলস্বরুপ নতুন নতুন পণ্য সরবরাহকারী ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ডেলিভারি বা কুরিয়ার চ্যানেল প্রসারিত হচ্ছে।

অনলাইনে ক্রেতারা যেকোনো স্থান থেকে নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে বসেই কিনতে পারছে। অনেকগুলো ই-কমার্স সাইট থাকার ফলে তারা ঘরে বসেই নিজের কাঙ্ক্ষিত পণ্য বেছে নিতে পারছে। সুবিধাজনক উপায়ে পণ্য অর্ডার করা ও দাম যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলার পণ্যের চাহিদা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও ই-কমার্সে বিনিয়োগ বা পুঁজি তুলনামূলকভাবে কম লাগে। এজন্য অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে ও বেকারত্বের হার কমছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ই-কমার্সে গুরুত্ব দেওয়া হলে দেশের কর্মসংস্থানের হার আরো বাড়ানো সম্ভব।

ই-কমার্সের ফলে গতানুগতিক ধারায় মার্কেটে জনসমাগমের হার কমছে ও অনেক মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। এর ইতিবাচক দিক কোভিড-১৯ এর সময় পুরো বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এক্ষেত্রে নারীদের কর্মসংস্থান, সাবলম্বী হওয়ার হার ও নারীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীরা এখন ঘরে বসেই ই-কমার্সের সুবাদে কাজ করে নিজের পরিচয় তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছে।

দেশি পণ্যের প্রসার ও প্রচার এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বর্তমানে কার্যকরী মাধ্যম হলো ই-কমার্স। তাই এই সেক্টরে দেশি পণ্য এবং দেশি পণ্যের উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। এই পুরো প্রক্রিয়ার প্রভাব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। একই সঙ্গে ই-কমার্সের সুফল সম্পর্কে সকলকে অবগত করার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। যেনো এই সেক্টরে জনগণের অংশগ্রহণ ও নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পায়।

ঢাকা/সিনথিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়