ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

খেশের ভুবনে অনলাইন ক্রেতাদের বৈশাখ উদযাপন

প্রকাশিত: ২৩:২১, ১৪ এপ্রিল ২০২১  
খেশের ভুবনে অনলাইন ক্রেতাদের বৈশাখ উদযাপন

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য খেশ কাপড়। এই খেশ কাপড়ের উদ্ভাবন হয়েছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে তার ছাত্রদের মাধ্যমে।  এক সময় এটি  বাংলাদেশের তাঁতিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। খেশ পণ্যের মধ্যে শাড়ি, পাঞ্জাবি ছাড়াও রয়েছে ব্যাগ, শাল ইত্যাদি। এই বৈশাখেও ক্রেতাদের কাছে প্রাধান্য পেয়েছে খেশের পণ্য। ঘরোয়াভাবে দেশি পণ্যে বৈশাখ উদযাপন নিয়ে ক্রেতারা জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা।

নিগার ফাতেমা (স্বত্বাধিকারী, আরিয়া’স কালেকশন)
আরিয়া’স কালেকশনের পক্ষ থেকে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য আরিয়া’স কালেকশন খেশ পন্যকে সাজিয়েছিল নতুন ভাবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী। গামছা, খেশ শাড়ি, হাতের কাজের খেশ শাড়ি, ব্লকের খেশ শাড়ি,লাল ও জড়ি পাড়ের খেশ শাড়ি। গরম আবহাওয়াতেও খুব সহজে ক্রেতারা যাতে বৈশাখ উৎসব উদযাপন করতে পারেন সেই চিন্তা থেকেই প্রতিটি শাড়ি ডিজাইন করা হয়েছিল। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বৈশাখের অর্ডার পেয়েছিলাম। বরিশালের সোনিয়া কবির আপু, নীলফামারীর নীলিমা রায় আপু, গেন্ডারিয়ার মিনা ভৌমিক আপু, চাঁদপুরের বাম্পি রায় আপু, ঢাকার সুবর্না সাথী আপু, লুনা আপু এইরকম অনেক ক্রেতার পছন্দের তালিকায় ছিল খেশ শাড়ি। তাদের অনুভূতি আমাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং আমরা নতুন নতুন কাজের উৎসাহ পাচ্ছি।

মিনা ভৌমিক (অনলাইন ক্রেতা)
দেশীয় শাড়ির মধ্যে খেশ নামে শাড়ি আছে, সেটা আমি আগে জানতাম না। প্রথম নিগার আপুর মাধ্যমে খেশ শাড়ির সঙ্গে পরিচিত হই। এই শাড়িটার প্রতি আমার আগ্রহের কারণ এটি ছিল সম্পূর্ণ নতুন কিছু। কাস্টমার মিট-আপে নিগার আপুর খেশ বউকে লাল শাড়ি পড়া দেখে শাড়িটার প্রতি চোখ আটকে যায়। মনে মনে স্থির করলাম আমি শাড়িটা পহেলা বৈশাখে পরবো। পরবর্তীতে কিনে ফেলি খেশের লাল শাড়িটা, যা ছবির চেয়ে বাস্তবে অনেক সুন্দর।

নীলিমা রায় (অনলাইন ক্রেতা)
নতুন বছর মানেই নতুনত্ব। প্রতি বছর এই দিনটিকে সুন্দরভাবে পালন করার জন্যে শাড়ি নেওয়ার প্রবনতা ছিল বরাবরই। নববর্ষ  মানেই লাল সাদা কিংবা নতুন আঙ্গিকের শাড়ি। এবার ই-কমার্স  যেন পাল্টে দিয়েছে আমাদের রুচি ও পছন্দ।  করোনা আমাদের জীবনের নতুনত্ব গুলোকে ছুঁয়ে দেখার ক্ষমতা হারিয়ে দিয়েছে। তাই বৈশাখের আমেজ অনলাইনেই করে ফেললাম। নিয়ে নিলাম নিগার আপুর খেশের উপর করা ব্লক শাড়ি। যা ই-কমার্সের কারণে সম্ভব  হয়েছে। অসাধারণ শাড়ি এবং শাড়ির মানুষটি। 

ড. সোনিয়া কবির (অনলাইন ক্রেতা)
পেশায় আমি একজন ডাক্তার। আমার পোস্টিং পিরোজপুরে। চাকরি এবং করোনার জন্য ঢাকায় খুব কম যাওয়া হয়। তাই অনলাইন শপিং আমার একমাত্র ভরসা। আমি নিগার ফাতেমা আপুর ফেসবুক পেজ ‘আরিয়া’স কালেকশন’ থেকে পহেলা বৈশাখের জন্য খেশ শাড়ি নিয়েছি। এই শাড়িটি আমার জন্য অসাধারণ একটি কালেকশন। যাচাই করে কিনতে পারলে অনলাইন শপিং খুব কমফোর্টেবল।

প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে থাকি। অনলাইনের সুবিধা হচ্ছে এখানে গতানুগতিক ধারার বাইরে এক্সক্লুসিভ টাইপ শাড়ি কিংবা ড্রেস পাওয়া যায়।

সেক্ষেত্রে এবার আমার নতুন পরিচিতি ছিল নিগার আপুর খেশ শাড়ি। শুধু খেশ শাড়ি নয়, এই শাড়ির মাঝে যে ভেরিয়েশন এনেছে এটা খুবই আকর্ষণীয় ছিল।

সুবর্না সাথী (স্বত্বাধিকারী, ‘Achyuta-অচ্যুত’)
আমি গতবছর বৈশাখ উপলক্ষে একটা গামছা চেক শাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু এবার নিগার আপুর গামছা খেশ শাড়ি ধরে কেমন একটা প্রশান্তি এবং নতুনত্ব দেখতে পাচ্ছিলাম। তারপর লাইট পার্পেলের উপর হালকা চুমকি খেশ শাড়িকে গর্জিয়াস করে দিয়েছে। তার আরও একটা বৈশাখী শাড়ি যেটা হচ্ছে খেশের সঙ্গে পাড়ে গুজরাটি কাজ করা। এই নতুনত্ব গুলো কিন্তু মার্কেটে পাওয়া অসম্ভব মনে করি। আমরা যারা নতুন নতুন ফিউশন খুঁজে বেড়াই, তারা অবশ্যই খেশ গামছা শাড়িটা ও গুজরাটি কাজের শাড়িসহ বেশ কিছু শাড়িকে লিস্টে রাখবো।

সর্বোপরি অনলাইন উদ্যোক্তারা যে নতুন নতুন ফিউশন আমাদের সামনে তুলে ধরছে, তাতে আমরা আরও আকৃষ্ট হবো অনলাইনের প্রতি।

ঢাকা/ সিনথিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়