ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘ই-কমার্সকে রপ্তানিমুখী করতে নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে’

উদ্যোক্তা/ই-কমার্স ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ১ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:৫৭, ১ জুন ২০২১
‘ই-কমার্সকে রপ্তানিমুখী করতে নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে’

করোনা ভাইরাস মহামারিতে সামনে এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট। সার্বিক কার্যক্রমে  এসেছে পরিবর্তন। কাজের ক্ষেত্রে বেড়েছে প্রযুক্তি নির্ভরতা। বেড়েছে ই-কমার্স ব্যবসার প্রবৃদ্ধি। দেশের ইন্টারনেট সেবানির্ভর বাজারকে সমৃদ্ধ করতে বেশ কিছু প্রস্তাবনাও করেছে ই-ক্যাব (ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ)। যা ইতোমধ্যে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন শপিং থেকে অর্জিত  আয়কে করমুক্ত করতে বরাবরই দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগন।  কেননা অনলাইন বিক্রেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতি ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী বা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। এইসব ক্ষুদ্র উৎপাদনকারী বা সরবরাহকারী মূসক নিবন্ধনের আওতায় পড়ে না । এসব বিষয় নিয়ে ই-ক্যাবের কমিউনিকেশন পরিচালক ও কোষাধ্যক্ষে দায়িত্বরত জনাব সাঈদুর রহমান রাইজিংবিডিতে তার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়েছেন।

সাঈদুর রহমান বলেন, ‘কোভিট  মহামারী স্পষ্ট ভাবে বুঝে দিয়েছে এই দুর্যোগে এফ-কমার্স বা ই-কমার্সের ভূমিকা কতটুকু ছিল। তাই সে ক্ষেত্রে গুরুত্বের সঙ্গে আসন্ন বাজেটে (২০২১-২০২২) ই-কমার্সের দিকে নজর দিতে হবে। যেহুতু এটি গ্রোয়িং ইন্ডাস্ট্রি এবং তরুণ ও নতুন উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি প্রায় অনেকেই বিজনেস ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এই সেক্টরকে  ইন্ডাস্ট্রিতে রূপান্তর, ক্যাশ লেস ও পেপারলেস সোসাইটির দিকে এগোতে এবং সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল ইকোনমি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে- 

প্রথমত- ই-কমার্সে ভ্যাট ৫ শতাংশের বেশী হবেনা এবং যাদের বার্ষিক লেনদেন ১ কোটি টাকার কম, তারা ভ্যাটের আওতা মুক্ত থাকবে। এছাড়া আমার স্পষ্ট বক্তব্য হলো সরবরাহকারীর ভ্যাট রশিদ সরবরাহকারী প্রদর্শন করবে,এই ভ্যাট রশিদ প্রদর্শন করার বাধ্যবাধকতা ই-কমার্স বা মার্কেটপ্লেসগুলোর উপর থাকবেনা।

দ্বিতীয়ত- যেহেতু বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে তাই ডিজিটাল এডুকেশন বা ই-লার্নিংকে সম্পূর্ণরূপে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে  হবে।

তৃতীয়ত- ই-সিগারেটসহ নিকোটিন,এলকোহল ও এডাল্ট টয় সহ এই জাতীয় পণ্য  অনলাইনে বিক্রয়,বিপনন,বিজ্ঞাপন ও আমদানী সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করতে হবে।

চতুর্থত- ক্রসবর্ডার ই-কমার্সকে এবং ই-কমার্স এর মাধ্যমে বিক্রয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আনয়নের ক্ষেত্রে এই জাতীয় ই-কমার্স কে রপ্তানীমুখী ই-কমার্স হিসেবে গণ্য করে নগদ প্রনোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

পঞ্চমত-ব্যাংকগুলোর ঋননীতি ই-কমার্স  উদ্যোক্তাদের অনুকূলে নয়। এ ব্যাপারে শিথিলতা প্রয়োজন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ই-কমার্স / এফ-কমার্স  উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণসুবিধা না দিলে ডিজিটাল এসএমই ইকোসিস্টেম ভেঙ্গে পড়বে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তাদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে,যা গত ২ বছরে আমাদের কাছে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গিয়াছে।

ষষ্ঠত- ক্ষতিগ্রস্থ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নগদ সহায়তা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। সেইসাথে গ্রামীণ ই-কমার্স অবকাঠামো উন্নয়নে স্পষ্টভাবে স্ট্রাকচার তৈরী করা প্রয়োজন।

এছাড়া আমরা সরকারকে ডিজিটাল কমার্স আইন প্রনয়ন,ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা বাস্তবায়ন ও অনানুষ্ঠানিক উদ্যোক্তা বিশেষ করে এফ কমার্সকে সহজ নিবন্ধনের মাধ্যমে তাদের উদ্যোক্তা স্বীকৃতির মাধ্যমে ডিজিটাল কমার্স এর ভিত্তি মজবুত করতে হবে’।

ঢাকা/সিনথিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়