ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বইমেলায় কিশোর উপন্যাস মুজিবের গল্প শোনো

সাইফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বইমেলায় কিশোর উপন্যাস মুজিবের গল্প শোনো

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবনকে আশ্রয় করে শামস সাইদ লিখেছেন কিশোর উপন্যাস মুজিবের গল্পো শোনো।

কথা প্রকাশ থেকে এই উপন্যাসের দুই খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত উঠে আসবে এই উপন্যাসে।

মুজিবের গল্প শোনো-১

উপন্যাসের এই খণ্ডে বঙ্গবন্ধুর দুরান্ত কৈশোরের অনেক ঘটনা উঠে এসেছে। উঠে এসেছে স্বপ্নের কথাও। টুঙ্গিপাড়ার সেই খোকা হঠাৎ স্বপ্ন দেখল আকাশ ছোঁয়া। কারণ, এক সন্ধ্যায় বাড়িতে জড়ো হলো অনেক কাক। কা কা করে খোকার মনে স্বপ্ন বুনে দিল। কী ছিল সেই স্বপ্ন? সেই স্বপ্নের হাত ধরে বন্ধুদের ছেড়ে খোকা কোথায় চলে গেল? বাবার স্বপ্ন ভিন্ন। দাদু বলছেন আর এক স্বপ্নের কথা। খোকা দেখছে অন্য স্বপ্ন। তার স্বপ্ন নদীতে ভাসে। আকাশে ওড়ে। কী ছিল খোকার সেই স্বপ্ন!

আবার খোকার একদিন বড্ড মন খারাপ হলো। শেষ গোলটা কার পা দিয়ে হয়েছে বুঝতে পারল না খোকা। এই গোলটা ঠিক করে দিল তাদের পরাজয়। হঠাৎ হইচই পড়ে গেল মাঠে। ছড়িয়ে পড়ল আনন্দ। মাইকে ঘোষণা করছে। বড্ড মন খারাপ খোকার। আকাশের দিকে তাকাল সে। দাঁড়াল না আর। মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়ল।

বিকেল শেষ প্রান্তে। বাসার সামনে এসে দাঁড়াল খোকা। ডাক পিয়ন এসেছে চিঠি নিয়ে। চিঠি হাতে নিয়ে খোকা তাকিয়ে আছে বিস্ময়ভরা চোখে। বিশ্বাস করতে পারছে না এই চিঠি তার। সেই সন্ধ্যার অন্ধকারে সব মন খারাপ দূর করে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ল খোকার মুখে আনন্দ। কলকাতায় যাবে সে। এই চিঠিটা তাকে কলাকাতা যাওয়ার আমন্ত্রণ নিয়ে এসেছে। কে লিখেছিল সেই চিঠি? 

মুজিবের গল্পো শোনো-২

এই খণ্ডে খোকার কলকাতার জীবনের নানা ঘটনা উঠে এসেছে। খোকা ক্লান্ত। রাত গভীর হয়েছে। হলে ফেরার শক্তি নেই তার। পা ঝুলিয়ে শুয়ে আছে রুটি বানানো টেবিলের ওপর। রাজ্যের ঘুম নামল তার চোখে। কিছুক্ষণ পরেই কেউ একজন হাত রাখল তার কপালে। ঘুম ভেঙে গেল খোকার। বিস্ময়ের কণ্ঠে বলল, স্যার আপনি!

আছে খোকার দুষ্টুমিও। খোকার হাতে একটা প্যাকেট। কৌশল করে এমনভাবে বেঁধেছে মিনিট পনেরো লাগবে খুলতে। তার আগেই ওখান থেকে চলে আসবে সে। পাশে বন্ধু ইয়াকুব। খোকা যাচ্ছে নারকেলডাঙ্গায়। বাপুজীর সঙ্গে ইদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। তারপর এই উপহার তুলে দিবে তার হাতে। ভয় উত্তেজনা দুটোই রয়েছে মনে।

বাপুজীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করল খোকা। তুলে দিল সেই উপহার। হাসি মুখে গ্রহণ করলেন বাপুজী। কয়েকটা আপেল দিলেন খোকা ও ইয়াকুবের হাতে। বাইরে এসে হাসতে হাসতে গলে পড়ল খোকা। প্যাকেট খুলে অবাক হবেন বাপুজী। ভাববেন ইদের দিনে এ কেমন উপহার! বাপুজির জন্য কি এমন উপহান নিয়েছিল খোকা? অসংখ্য ঘটনার মধ্য দিয়ে শামস সাইদ তুলে ধরেছেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প। যা কিশোরদের শুধু বঙ্গবন্ধুকে জানতেই সহায়ক হবে না। বঙ্গবন্ধুর জীবন কিশোরদের মনে স্বপ্ন বুনে দিবে। মানুষ হওয়ার। দেশপ্রেমের।


ঢাকা/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়