ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে আতঙ্কের নাম ‘চান্দা জনি’

রতন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৩, ৫ মার্চ ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মুন্সীগঞ্জে আতঙ্কের নাম ‘চান্দা জনি’

জালাল উদ্দিন জনি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নে সদর থানার আওতাধীন হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে সিপাহী পাড়া এলাকায় জালাল উদ্দিন জনি (২৬) ওরফে চান্দা জনির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।


গত বৃহস্পতিবার সিপাহীপাড়া এলাকার এক ব্যবসায়ী কাজী আশাদুজ্জামান লিপু তার সাড়ে তিন শতাংশ জমিতে মার্কেট নির্মাণ করতে গিয়ে চান্দা জনির রোষাণলে পড়ে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে চান্দা জনির বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আশাদুজ্জামান লিপু।


কাজী আশাদুজ্জামান লিপু তার লিখিত অভিযোগে জানান, চাঁদাবাজ জনি মার্কেট নির্মাণের আগে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দিতে বলেছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন তাকে হুমকি দিয়ে আসছেন জনি। চাঁদা না দিলে মার্কেটই হবে তার কবরখানা- এমন ভাষায় হুমকি দিয়ে আসছেন।


লিখিত অভিযোগে আশাদুজ্জামান লিপু জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী চাঁদার টাকা নিতে আসে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা।

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের ফকিরের কাছে এ-সংক্রান্ত অভিযোগপত্র দিয়েছেন আশাদুজ্জামান লিপু।
 

জনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি এখন রামপাল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা। তার চাঁদাবাজির এলাকা ক্রমেই বাড়ছে।  


পুলিশ প্রশাসনের সামনেই চলছে তার এসব অপকর্ম। রহস্যজনকভাবে পুলিশ-প্রশাসন তাকে গেফতার করছে না বলে সিপাহীপাড়া এলাকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।


এমন কোনো অপকর্ম নেই যা চান্দা জনির নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী করছে না। কিন্তু তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অস্ত্রে প্রাণ হারানোর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।

 
বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মাদক-অস্ত্র বিক্রি, চাঁদাবাজীসহ সব ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন জনি। পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই নাকি তিনি এসব অপকর্ম দেদারছে করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ।


প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি মুন্সীগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মো. খসরু ওরফে লেংরা খসরুর গ্রেফতারের পরে মুন্সীগঞ্জের রামপাল ইউনিয়নের মানুষ এখন চান্দা জনির সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ-আতঙ্কিত। তাকে চাঁদা না দিয়ে সিপাহী পাড়াসহ হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার কোনো ব্যাবসায়ী ব্যবসা করতে পারবেন না- এমন ঘোষণা দেওয়া রয়েছে জনির পক্ষ থেকে।


এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আশাদুজ্জামান লিপুর লিখিত অভিযোগপত্রটি হাতে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের ফকির। তিনি জানান, চাঁদাবাজ যেই হোক না কেন শিগগিরই তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ পাওয়ার পর-পরই সদর উপজেলার হাতিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই সেলিমকে চাঁদাবাজ জনিকে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



 

রাইজিংবিডি/মুন্সীগঞ্জ/৬ মার্চ ২০১৫/রতন/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়