ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বাবা থাকুক পরম যত্নে

ইমরান হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ২১ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
বাবা থাকুক পরম যত্নে

সন্তানের ভরসা, ছায়া এবং নির্ভরশীলতার প্রতীক বাবা। বাবা সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে পারেন। সন্তান বাবার ঋণ কখনো শোধ তো দূরের কথা পরিমাপও করতে পারে না। সেই মহান বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব বাবা দিবস।

সব জায়গায় ভালোবাসার প্রথম স্থান দখল করে আছে মমতাময়ী মা। মায়ের পরের স্থান বাবার। কিন্তু বাবাকে কাছে পাবার আকাঙ্ক্ষা, বাবার ভালোবাসা পাবার ইচ্ছা সব সময়ই সন্তানের একটু বেশি থাকে। কারণ মাকে আমরা সব সময় কাছে পাই। কিন্তু বাবাকে চাকরি বা ব্যবসার কারণে সারাক্ষণ বাইরেই থাকতে হয়। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে দিন শেষে ক্লান্ত হয়ে তিনি ঘরে ফেরেন এক চিলতে হাসিমুখ নিয়ে। প্রতিটি সন্তানের কাছে বাবার এই হাসি অমূল্য। সব দুঃখ-কষ্ট, নিমিষেই দূর হয়ে যায় যখন বাবা খোকা বা খুকি বলে ডাক দেন।

ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সনোরা স্মার্ট ডোড নামের এক তরুণীর মাথায় আসে বাবা দিবসের বিষয়টি। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশ বাবা দিবস পালন করে। তার মধ্যে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিবসটি পালিত হয় ৫২টি দেশে। ইরানে বাবা দিবস পালিত হয় ১৪ মার্চ। লিবিয়া, ইতালি, হন্ডুরাস, পর্তুগাল ও স্পেনে ১৯ মার্চ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ মে, ডেনমার্কে ৫ জুন, নিকারাগুয়া, পোল্যান্ড ও উগান্ডা ২৩ জুন এবং জুন মাসের প্রথম রবিবার লিথুনিয়ায় বাবা দিবস পালিত হয়।

বাবা কি সন্তানদের যত্ন পাচ্ছেন? নাকি তারা অবহেলিত? এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। সব থেকে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, বিশ্ব বাবা দিবস ঘোষণার একশ বছর পরও আজকে বাবারা অবহেলিত, নির্যাতিত ও  নিপীড়নের শিকার। অনেক বাবার স্থান আজকে ফুটপাতে কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে। কেনো এই সমাজে দিনের পর দিন বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে? উত্তর সন্তানের অবহেলা।

একটা কথা সব সন্তানকে মনের ভেতর থেকে অনুভব করতেই হবে, সেটা হলো, আমরা এখন যে মুখে বা যে ভাষায় বাবাকে বকা দিই বা তাদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করি, এই ভাষা ওই বাবার কাছেই আমাদের শেখা। সুতরাং বাবার প্রতি সব সন্তানকে হতে হবে সহানুভূতিশীল ও কর্তব্যপরায়ণ। বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্বের কোনো শেষ নেই। আর তাই প্রতিটি ধর্মেই বাবাকে শ্রদ্ধা করার কথা বলা হয়েছে।

বিশ্ব বাবা দিবসে একটাই চাওয়া প্রতিটি সন্তান হয়ে উঠুক বাবার প্রতি দায়িত্বশীল। বাবারা থাকুক পরম যত্নে।

লেখক: শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

 

ঢাকা/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়