ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

তুলির আঁচড়ে যার দেশ মাটি ও গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১০ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১১:২৪, ১০ অক্টোবর ২০২০
তুলির আঁচড়ে যার দেশ মাটি ও গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি

যার তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে মানুষের জীবন, দারিদ্র্য, লড়াই ও সংগ্রাম।  গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণির দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফুটে উঠেছে যার ছবিতে। 

বাঙালি জাতিসত্তার নান্দনিক শৈল্পিক প্রকাশের অন্যতম সূর্যসারথি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।  ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বিশ্ব বরেণ্য এই চিত্রশিল্পী।

১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা পাখির কলকাকলীতে ভরা মাছিমদিয়া গ্রামে বরেণ্য চিত্রশিল্পীর জন্ম।  তার পিতা মো. মেছের আলি মাতা মোছাঃ মাজু বিবি।  চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে পিতা মাতা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া।  ওই নামেই সুলতানকে ডাকতেন তারা।

এস এম সুলতানের ৭০ বছরের জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সাথে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন ‘পাট কাটা’, ‘ধানকাটা’, ‘ধান ঝাড়া’, ‘জলকে চলা’, ‘চর দখল’, ‘গ্রামের খাল’, ‘মৎস শিকার’, ‘গ্রামের দুপুর’, ‘নদী পারা পার’, ‘ধান মাড়াই’, ‘জমি কর্ষণে যাত্রা’, ‘মাছ ধরা’, ‘নদীর ঘাটে’, ‘ধান ভানা’, ‘গুন টানা’, ‘ফসল কাটার ক্ষণে’, ‘শরতের গ্রামীণ জীবন’, ‘শাপলা তোলা’র মত বিখ্যাত সব ছবি।

১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালীন বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়।  সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে।

১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আটির্ষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেছিলেন তিনি। 

এছাড়াও তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যান অব দ্য ইয়ার, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ম্যান অব এশিয়া পুরস্কার লাভ করেন।

ঢাকা/শাহ মতিন টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়