ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিদ্যানন্দের আয়োজনে অনাথ শিশুদের সমুদ্র দেখা

জাহিদ সাদেক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৮:১৫, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিদ্যানন্দের আয়োজনে অনাথ শিশুদের সমুদ্র দেখা

সমুদ্রসৈকতে দুরন্তপনায় মেতেছে একদল শিশু। সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ যেন হার মেনেছে তাদের উচ্ছ্বাসের কাছে। এই প্রথম তাদের সমুদ্র দেখা। ফলে তাদের বিস্ময়ের শেষ নেই! যদিও হতে পারে এটাই তাদের শেষ সমুদ্র দেখা। কেননা তাদের জীবনে এমন খুশির দিন এর আগে কখনও আসেনি। দুঃখের সঙ্গেই তাদের বসবাস বারোমাস। তারা অনাথ।

অনিশ্চয়তায় ভরা জীবনের অন্তত একটি দিন রাঙিয়ে দিতে এই শিশুদের নিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই মহতী আয়োজনের উদ্যোক্তা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানের ৫টি অনাথ হল থেকে প্রায় ৪২৬ জন শিশু ছিল এই ভ্রমণের প্রাণ।

কথা হয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র সিরাজুম মুনীরা স্মৃতির সঙ্গে। তিনি এমন একটি শুভ উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিদ্যানন্দ প্রতি বছর অনাথ হল থেকে শিশুদের নিয়ে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করে। কিন্তু এবার একটু ভিন্নভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম। ওদের কক্সবাজার ভ্রমণে নিয়ে গিয়েছিলাম। বালিয়াড়িতে শিশুদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখে আমাদের প্রাণ ভরে গেছে। আমাদের আয়োজন সার্থক।’

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অপর মুখপাত্র সালমান হোসেন বলেন, ‘এটি ছিল আমাদের নিজস্ব আয়োজন। আশা করছি, প্রতিবছর এমন আয়োজন করতে পারব। এখন আমাদের ৫টি অনাথ হল আছে। আরেকটি নির্মাণাধীন। ওটা হয়ে গেলে ছেলেমেয়ের সংখ্যা আরো বাড়বে। সামনের বছর আরো বড় পরিসরে আয়োজন করার ইচ্ছে আছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যেই এই আয়োজন প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ উল্লেখ করে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের আয়োজনের নেপথ্যে রয়েছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের নীরব অবদান। যারা ডোনেট করেন এ ধরনের সামাজিক কাজে। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাভেল ইন বাজেট’। এই প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডার ডা. তাসমিয়া ইসলাম বলেন, ‘দল নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা আমরা করি। এখান থেকে যা লাভ হয় তার ছোট্ট একটি অংশ আমরা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে ডোনেট করেছিলাম। শিশুরা সমুদ্র দেখছে। তাদের হাসিতে মুখরিত হয়েছে দীর্ঘতম সৈকতের আকাশ-বাতাস। যে শিশুদের বঞ্চনা আর কান্নার গল্প শুনেছি, সেই শিশুদের হাসি মুখ আমাদেরও আনন্দ দিয়েছে।’ 

অর্থাৎ আপনার কষ্টার্জিত উপার্জনের সামান্য অংশও হাসি ফোটাতে পারে এসব অনাথ শিশুদের মুখে। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আপনিও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারেন। 
 

ঢাকা/তারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়