ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে’

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ১৩ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৩:০৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে’

‘কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে/দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে?’, ‘চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন/ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে। /কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে/কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে’, ‘যে জন দিবসে মনের হরষে/ জ্বালায় মোমের বাতি,/ আশু গৃহে তার দখিবে না আর/ নিশীথে প্রদীপ ভাতি’-কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের কবিতার এ পংক্তিগুলো কার না জানা! 

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের ১১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  তার জন্ম খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে ১৮৩৪ সালের ৩১ মে। 

বাবা মাণিক্যচন্দ্র মজুমদার। অল্পবয়সে পিতৃহীন হয়ে ঢাকায় অপরের আশ্রয়ে বড় হন এবং ফার্সি ভাষা শিক্ষা করেন। ১৮৫৪ সালে বরিশালের কীর্তিপাশা বাংলা বিদ্যালয়ের প্রধান পন্ডিতপদে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ঢাকার স্কুলে যোগদান করেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন স্কুলে দীর্ঘ উনিশ বছর শিক্ষকতা করেন। সবশেষে যশোর জেলা স্কুলে প্রধান পণ্ডিতের কাজ করে অবসর নেন। শেষ জীবনে কৃষ্ণচন্দ্র সেনহাটিতে বসবাস করেন এবং বিভিন্ন সঙ্গীত রচনা করে অবসর জীবন কাটান। 

১৮৬১ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘সদ্ভাব শতক’ তার প্রথম ও শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক, সুফী এবং হাফিজের ফার্সি কবিতার অনুসরণে রচিত। 

ছেলেবেলা তার ছদ্মনাম ছিল রামচন্দ্র দাস, সংক্ষেপে রাম। তাই পরিণত বয়সে তিনি রামের ইতিবৃত্ত (১৮৬৮) নামে একটি আত্মচরিত রচনা করেন। মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে রচিত তার আরেকটি গ্রন্থ হলো মোহভোগ (১৮৭১)। কৈবল্যতত্ত্ব (১৮৮২) নামে তিনি একটি দর্শনবিষয়ক গ্রন্থ লেখেন। এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি কাঙাল হরিনাথ- এর গ্রামবার্তা প্রকাশিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। নাটক রাবণবধ মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। 

কবির স্মৃতির উদ্দেশ্যে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি গ্রামে ১৯১৪ সালে কবি কৃষ্ণ চন্দ্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

ঢাকা/টিপু

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়