ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আমার বাবা কই...

মামুন সোহাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৪, ১৬ আগস্ট ২০২২   আপডেট: ২২:১৫, ১৬ আগস্ট ২০২২
আমার বাবা কই...

গতকালও (১৫ আগস্ট) যে মানুষগুলো বেঁচে ছিলেন, আজ তারা কফিনবন্দি। তখনও লাশ আসেনি। মর্গের বাইরে পরিবারের সদস্যদের অপেক্ষা। পিঠ চাপড়ে আহাজারি, গাল বেয়ে ঝরছে চোখের পানি। 

বউভাতের অনুষ্ঠান শেষ করে ফিরছিলেন নিজগৃহে। মনে মনে আঁকা ছিল কতশত স্বপ্ন। কে জানতো, পথেই সব ফিকে হয়ে যাবে! গার্ডার চাপায় চোখের পলকে শেষ পাঁচটি তাজা প্রাণ। 

একে একে বের করে আনা হলো লাশগুলো। তাদের মধ্যে একজন পুরুষ, দুজন নারী ও দুটি শিশু। প্রত্যেকের লাশ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গ্রামে।  

ওই মুহূর্তটা চোখের সামনে কল্পনা করতে পারি না। দাঁতে দাঁত চেপে ভাবলাম, আজ যদি আমার পরিবারের কেউ হতো! তবে কীভাবে সামাল দিতাম নিজেকে। তেমনি করে নিজেকে হয়তো সামলাতে পারেননি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা হৃদয়। 

কান্নায় ভেঙে পড়েন সদ‌্য বিবাহিত হৃদয়। বুক চাপড়ে জ্ঞান হারান। এর আগে বলতে লাগলেন- আমার বাবা কই, বাবা বাবা কই গেলা...?

উত্তরা জসিম উদ্দিন ঘুরে এলাম। ক্রেনটা পড়ে আছে এখনও। আগের মতোই যান চলাচল স্বাভাবিক। মানুষের ভিড়ও বেড়েছে ঘটনাস্থলে। গতকাল যারা যেতে পারেননি আজ অনেকেই জায়গাটি দেখতে যাচ্ছেন। 

এক ভদ্রলোক অনেকটা দুশ্চিন্তার ছাপ নিয়েই বললেন, ঢাকা শহরে প্রতিটা জায়গায় কাজ চলছে। হঠাৎ করে মাথায় ইট পড়বে না, কে বলবে ভাই...!

সত‌্যিই এ শহরে জীবন অনিশ্চিত, অরক্ষিত! 

পড়ুন
ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেট কারের ৫ যাত্রী নিহত
ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল নবদম্পতি
এক্সক্যাভেটর দিয়ে সরানো হলো ১৫০ টন ওজনের গার্ডার
ব্যস্ত সড়কে নিরাপত্তা নেই কেন, প্রশ্ন বেঁচে যাওয়া হৃদয়ের

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি তিতুমীর কলেজ ও গণমাধ‌্যমকর্মী

ঢাকা/এনএইচ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়