ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পুরান ঢাকায় দেয়ালচিত্রে বিশ্বকাপ

মো. মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ২৫ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ১৬:৪৩, ২৫ নভেম্বর ২০২২
পুরান ঢাকায় দেয়ালচিত্রে বিশ্বকাপ

বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বকাপ উন্মাদনা। উন্মাদনায় জায়গা পেয়েছে দেয়ালে দেয়ালে মেসি-নেইমারের ছবি। পুরান ঢাকায় বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা চিত্রে ফুটে উঠেছে বিশ্বকাপের আবহ। 

আদি ঢাকার হেমেন্দ্রদাস লেন দিয়ে হেঁটে একরামপুর প্রাইমারি স্কুলের বিপরীতের গলিটি হচ্ছে পূর্ণচন্দ্র ব্যানার্জি লেন। লেন দিয়ে হাঁটতেই চোখ আটকে যাবে দুদিকের দেয়ালে। দেয়ালগুলো সাজানো হয়েছে ভিনদেশী তারকাদের প্রতিকৃতি এবং তাদের দেশের পতাকার ছবিতে। ভাঙ্গা, জরাজীর্ণ দেয়ালের রূপ বদলে গিয়ে নতুন রূপ ধারণ করায় স্থানীয় বাসিন্দারা দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। 

দেখা যায়, দেয়াল চিত্রে স্থান পেয়েছে আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসি, ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এবং পর্তুগাল তারকা ও ‘সিআরসেভেন’খ্যাত রোনালদো। এসব বিদেশী তারকার মাঝে বাংলাদেশী তারকা জামাল ভুঁইয়াও রয়েছেন। দেয়ালচিত্রে ভাতৃত্ববোধ ফুটে উঠেছে মেসি নেইমারের পাশাপাশি ও ঘাড়ে হাত দেয়া ছবিতে।

লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা রোনালদোর ছবি ব্যতীত বেশিরভাগ দেয়ালেই জায়গা করে নিয়েছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, বেলজিয়াম, বাংলাদেশসহ আরও অন্যান্য পতাকার ছবিও আছে দেয়ালচিত্রে। এছাড়াও রয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফি, বিশ্বকাপ লোগো, বিভিন্ন স্টেডিয়াম ও মাসকটের ছবি।

এসব আকর্ষণীয় দেয়ালের সামনে ছবি তুলতে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ রায় ও তার ছেলে নিরঞ্জন। নারায়ণ রায় রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আগে দেয়ালগুলো ময়লা এবং বিভিন্ন ব্যানারে ঢাকা থাকতো। দেখতে বিশ্রী লাগতো। এখন সুন্দর সুন্দর ছবি থাকায় ছেলেকে দেখাতে ও ছবি তুলতে এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলা মজার বিষয়। এটা মজার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখাই ভালো। একেকজন একেক দল সমর্থন করবে এটা স্বাভাবিক। এ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেই প্রত্যাশা করি।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেয়ালে রং করে বিভিন্ন চিত্র ফুটিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে তাদের সংগঠন ‘শিংটোলা তরুণ জাগরণ সংঘ’ থেকে উদ্যোগ নিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে দেয়ালচিত্র আঁকা হয়। 

রাইজিংবিডির কথা হয় শিংটোলা তরুণ জাগরণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্লাবন খানের সঙ্গে। প্লাবন বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বকাপ চার বছর পর এসেছে। সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে উন্মাদনা। আমরা একেকজন একেকটি দল সাপোর্ট করি কিন্তু এই উদ্যোগে সবাই এক হয়েই কাজ করেছি। তাই তো বিশ্বকাপ ফুটবলকে আমরা দেয়ালচিত্রে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।’

‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’খ্যাত ফুটবল তার সুখ্যাতি ধরে রাখুক এবং চার বছর পরপর বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ফুটবল উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা তাদের।
 

তারা//

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়