ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশে কিডনি রোগী ১ কোটি ৯০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশে কিডনি রোগী ১ কোটি ৯০ লাখ

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘দেশে বর্তমানে এক কোটি ৯০ লাখের মতো মানুষ কিডনি রোগে ভুগছে।’

মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট রিভিউ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। আজ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কিডনি রোগ চিকিৎসা করা নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের সমস্যা অনেকাংশেই দূর হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রতিবছর ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে মানুষ ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপিত হলে একদিকে যেমন ঢাকায় চিকিৎসার চাপ কমে যাবে, অন্যদিকে দেশের সাধারণ মানুষের কিডনি রোগ চিকিৎসার বড় ধরণের অগ্রগতি আসবে।’

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ২০ ভাগ রোগীর কিডনি ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে। কিডনি বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৪০ হাজার রোগীর বর্তমানে সাপ্তাহিক ডায়ালাইসিস প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি মিলে মাত্র ছয় হাজার মানুষের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হচ্ছে।

বর্তমান প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের মেডিকেল কলেজ পর্যায়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ২২ ডায়ালাইসিস ইউনিটে ১১০০ বেডের মাধ্যমে এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ৪৪টি ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে ৪৪০ বেডের সর্বমোট ১৫৪০ বেডের ডায়ালাইসিস সেবা সরকারি পর্যায়ে সারাদেশে সম্প্রসারিত হবে।

এই প্রকল্পের ১৫৪০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৩,১২০ বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব। প্রতি বেডে দৈনিক ৩/৪ বার ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হবে বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, হাসপাতাল অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব, মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা প্রমুখ।

 

ঢাকা/আসাদ/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়