ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঘরে-বাইরে মাস্ক ব্যবহার জরুরি: ডা. আয়েশা আক্তার

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৫, ১০ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঘরে-বাইরে মাস্ক ব্যবহার জরুরি: ডা. আয়েশা আক্তার

মহামারি করোনাভাইরাস একজনের মাধ্যমে আরেকজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে। ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মুখ নাক ও চোখ দিয়ে অন্যের শরীরে প্রবেশ করে। তাই ঘরে, ঘরের বাইরে এখন মাস্ক ব্যবহার জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার রাইজিংবিডিকে এসব কথা বলেন।

ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ‘ঘরে যদি আক্রান্ত ব্যক্তি থাকেন, তাহলে তার কাছাকাছি গেলে মাস্ক, গ্লাভস, চশমা ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে তাই বাইরে বের হলেই এসব ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।’

মাস্ক ব্যবহার খুবই জরুরি জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির নাকের সিক্রেশন, মুখের লালায় থাকা ভাইরাস ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে যদি কোনো বস্তুতে পড়ে এবং সেই বস্তু স্পর্শের পর সাবান দিয়ে ভালো করে হাত না ধুয়ে যদি নাকে, মুখে ও চোখে লাগানো হয় তবে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’

‘যদি মাস্ক পরা হয় ও ৬ ফিট দূরত্বে থেকে কেউ যদি হাঁচি দেয়, তাহলে তার সেই হাঁচি কিন্তু অন্যের নাকে, মুখে যাবে না। মাস্কে লাগবে। আর হ্যান্ড গ্লাভস পরা থাকলে কোনো বস্তুতে লেগে থাকা ভাইরাস হাতে নয়, গ্লাভসে লাগবে। পরবর্তীতে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস যদি নষ্ট করে ফেলা হয় তাহলে কিন্তু অন্য কেউ আক্রান্ত হবে না।’

আক্রান্ত ব্যক্তি মাস্ক পরে থাকলে তিনি হাঁচি-কাশি দিলেও তা কিন্ত মাস্কের ভেতরই থেকে যাবে। আর যিনি আক্রান্ত নন, তার মুখ পর্যন্ত যদি হাঁচি এসেও থাকে তা কিন্তু মাস্কের বাইরে লাগবে। নাক মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশের সুযোগ কম বলে তিনি জানান।

ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ‘করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। চীন, কোরিয়া ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। তারা বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস ভালোভাবে ব্যবহার করেছে।’

‘আমাদের দেশে করোনাভাইরাস আসার পরে কিছু কিছু এলাকা পুরোপুরি এবং কিছু কিছু এলাকা আংশিক লকডাউন করা হয়েছে। মানুষ যদি ঘরে থাকে তাহলে সে সুস্থ থাকবে। আর যদি বাইরে বের হয় তাহলে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার চেষ্টা করবে।’

এ ভাইরাস বাতাসে বেশিক্ষণ জীবিত থাকতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বলি মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করার জন্য। তারপরেও কেউ যদি হাঁচি-কাশি দেয় সে যেন হাত বা কোনো কিছু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে দেয়, তাহলে ভাইরাসটা তার মধ্যে যাবে এবং পরবর্তীকালে সেই জিনিসটা ফেলে দিলে কেউ আক্রান্ত হবে না।’

মাস্ক একবার পরলে না ধুয়ে পরবর্তীতে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘বাজারে অনেক ধরনের মাস্ক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। একবার মাস্ক পরার পর পরবর্তীতে সেটা না পরাই ভালো। তবে সামর্থ্য না থাকলে কাপড়ের মাস্ক পরা যেতে পারে। কিন্তু সেটা একবার পরার পর সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে তারপর আবার পরা যেতে পারে।’

**

 

ঢাকা/সাওন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়