ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনায় যা আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৩০ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সংশোধিত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনায় যা আছে

দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষে রোববার (৩১ মে) থেকে খুলতে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।  এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনায় কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব খন্দকার জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে-দেশব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)-এর প্রাদুর্ভাব এবং ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয় ও অধিনস্ত দপ্তর/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুসরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ একটি স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রণয়ন করা হয় এবং তা সংশ্লিষ্টদেরকে পালনের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছিল।

উল্লিখিত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা আংশিক সংশোধন করে ফের পাঠানো হলো।  এতে বলা হয়েছে:

১. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শরীরে তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে।

২. অফিস পরিবহনে অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।  যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন পরত স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যানাক ও মুখ ভালাভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে।

৩. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।  কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ফের ব্যবহার করা যাবে।

৪. যাত্রার আগে এবং যাত্রাকালীন পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (ন্যূনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে।

৫. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে।

৬. অফিসে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

৭. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব‌্যবহার করতে হবে এবং ঘন ঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৮. কর্মকর্তা/কর্মচারীদের করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করতে হবে। ভিজিলেন্স টিম এর মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৯. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

১০. কোনো কর্মকর্তাকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন/কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।


ঢাকা/সাওন/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়