ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস আজ

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১১, ১২ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৩:৩৬, ১২ অক্টোবর ২০২০
বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস আজ

গ্রিক শব্দ ‘আর্থো’-এর মানে হলো অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড়া এবং ‘আইটিস’ শব্দের মানে প্রদাহ।  খুব সাধারণভাবে বলা যায়, আর্থ্রাইটিস হলো অস্থিসন্ধি বা হাড়ের জোড়ার প্রদাহ।  আজ বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস।

প্রতি বছর এই দিনটি বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস বিষয়ে সচেতনতার জন্য পালিত হয়।  দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বাত ব্যাথা নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়’।

বাত ( আর্থ্রাইটিস) মূলত অস্থিসন্ধির প্রদাহ যা এক বা একাধিক অস্থি সন্ধিকে আক্রান্ত করে।  এটা শিল্পোন্নত দেশে ৫০-৫৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষের অক্ষমতার মূল কারণ।   প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের রোগ নিয়ে হয় বাতরোগ।  এই রোগে প্রধানত অস্থিসন্ধি আক্রান্ত হলেও হাড়ের প্রদাহ, ক্ষয় রোগ, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা, মেরুদণ্ডের প্রদাহ, ক্ষয়, আড়ষ্ঠতা এগুলোও বাতরোগের পর্যায়ে পরে।  বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণাস্থি ভঙ্গুর হয়ে পরে এবং এর পুনর্গঠনের ক্ষমতাও কমে যায়।  তাই বয়স বাড়ার সাথে বাত রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও বাড়ে।

অতিরিক্ত ওজন এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিপদের।  অস্থিসন্ধি ক্ষয় খানিকটা শরীরের বাড়তি ওজনের সম্পর্কিত।  অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ স্থাপন করে।  তাই স্থূলকায় ব্যাক্তিরা সাধারনত বাতরোগে বেশি ভুগে থাকেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. আবু শাহীন জানান, পৃথিবীতে বাত ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিস মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যার একটি অন্যতম কারণ। এই রোগে মানুষ শারীরিক অক্ষমতার জন্য কাজ করতে পারে না। 

তারা জানান, বাংলাদেশে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগে এই বিষয়ে চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।  এই বিভাগ ২০০১ ও ২০১০ সালে বাংলাদেশে বাত ব্যাথা রোগের প্রকোপ নির্ণয়ের জন্য দুইটি গবেষণা করে।

২০০১ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের শতকরা ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ জীবনের কোন না কোন সময় বাত ব্যাথায় ভুগে থাকেন।  ২০০৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশে।  পুরুষের তুলনায় নারীরা এ রোগে বেশি ভোগেন। এক্ষেত্রে পুরুষ আক্রান্তের হার ২১ দশমিক ১ ভাগ এবং নারীদের হার ৩১ দশমিক ৩ ভাগ।  আশঙ্কার বিষয় ১০ বছরের ব্যবধানে নারীদের হার প্রায় ৩ শতাংশ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের হার ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

একই এলাকায় পরিচালিত গবেষণা দুটোতে দেখা গেছে, বাত ব্যাথার কষ্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকোপ কোমর ব্যাথায়। ২০১০ সালের হিসাবে ২১ দশমিক ২ শতাংশ; হাটু ব্যাথা ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। কাঁধের জোড়ার ব্যাথা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, কুঁচকি বা হিপ এর বাত ৭ দশমিক ১ শতাংশ, গোড়ালীর বাত ৬ শতাংশ।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়