আরও ২৪১ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ১৮৪ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ৫৭ জন ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। সবমিলিয়ে ডেঙ্গুতে এ বছরে মারা গেছেন ৫৯ জন।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪১ জন সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৭ জনে। এসব রোগীর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯০০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ২০৭ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৫ হাজার ৭০১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৪ হাজার ৫৩৫ জন। ডেঙ্গুতে এ সময়ের মধ্যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়। জুনে এই সংখ্যা ১৭২ জনে দাঁড়ায়। জুলাই মাসে তা দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জনে। সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম ৭ মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২ হাজার ৬৫৮ জন। জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে যা উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে। ওই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৯৮ জনে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৪৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, ডেঙ্গুতে বছরের প্রথম ৭ মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও আগস্টে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। সেপ্টেম্বর মাসের ১৯ দিনে ১৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি বছরে সবমিলিয়ে ডেঙ্গুতে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সে বছর ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। ডেঙ্গুতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয় ২০০২ সালে। সেবার ৫৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০০১ সালে ৪৪ জন মারা যায়। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করলেও করোনা মাহামারি মধ্যে ২০২০ সালে ডেঙ্গু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ২০২১ সালে এসে এবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।
মেসবাহ/রফিক
আরো পড়ুন