ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন’

ডেস্ক নিউজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৫, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন’

ছবি: মাসুদ

আলঝেইমারস সোসাইটি অব বাংলাদেশের জেনারেল সেক্রেটারি মো. আজিজুর হক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিমেনশিয়া রোগীদের বিষয়ে নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এর কোনো নীতিমালা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন, তেমনি ডিমেনশিয়া রোগীদের বিষয়ে বিশেষ নীতিমাল তৈরি করবেন।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ারমেন্ট হোমস, আলঝেইমার সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

বিশ্ব আলঝেইমারস দিবস উপলক্ষে ‌‘ডিমেনশিয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ডিমেনশিয়া রোগীদের জন্য বিশেষ নীতিমালা তৈরির দাবি জানানো হয়। 

আজিজুর হক আরও বলেন, আমরা ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব আলঝেইমারস দিবস পালন করে আসছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য মানুষকে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া। ডিমেনশিয়া অনেকগুলো রোগ-লক্ষণের সমষ্টি। ডিমেনশিয়া শব্দটি এমন একটি অবস্থাকে বোঝায়, যার প্রভাবে মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে ধীরে ধীরে অবনতি ঘটে। যেমন; স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া, চিন্তা ও চেতনার পরিবর্তন, কিছু বলতে গিয়ে সঠিক শব্দ খুঁজে না পাওয়া বা অন্যের কথা বুঝতে অসুবিধা হওয়া, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন এবং সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। 

ব্যক্তি বিশেষে ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক রূপ ভিন্ন হলেও সর্বশেষ অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের শারীরিক যত্ন নিজেরা করতে পারেন না এবং জীবনের সব ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে সমস্ত কার্যক্ষমতা চলে যায় আর বেঁচে থেকেও মৃতের জীবনযাপন করতে হয় তাদের, বলেন তিনি।

ডিমেইনসন রোগ এবং রোগীদের নিয়ে তিনি বলেন, ডিমেইনসন একটি মানুষিক রোগ।  কারো এ রোগ হলে কেউ প্রকাশ করতে চান না। তিনি ভাবেন, পরিবারের লোকেরা তাকে পাগল বলবেন। আবার অনেকে মনে করেন, এটি শুধু বয়স হলেই হয়ে থাকে। কিন্তু এই রোগে তরুণরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং প্রাথমিক অবস্থায়ই চিকিৎসা নিতে হবে।

পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাপান-বাংলাদেশ ফেন্ডশিপ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. সরদার এ নাইমসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মাসুদ/মাহি 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়