ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ কিডনি রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২৬ নভেম্বর ২০২১  
জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ কিডনি রোগী

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ কিডনি রোগী। ১৯৯০ এর দশকে জনসংখ্যার এক শতাংশ কিডনি জটিলতায় ভুগত। কিডনি অকেজো হয়ে যাওয়ার পর ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে রোগীদের সম্পদের ১২ থেকে ২২ শতাংশ সম্পদ বিক্রি করতে হচ্ছে। এর ফলে তারা দরিদ্র হয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নেফ্রলজিস্ট সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন এবং আইএসএন। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিডনি হাসপাতাল ও কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও চিফ অব কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. হারুন উর রশীদ। আরও বক্তব্য রাখেন—বিশিষ্ট শিশু নেফ্রোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রাফিকুল আলম, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) মামুন মোস্তাফী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সায়েন্টিফিক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।

সম্মেলনে কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নেফ্রলজিস্ট নেই। যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই রাজধানীতে। ফলে, রাজধানীর বাইরের রোগীরা প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা পান না।

বাংলাদেশের কিডনি রোগীদের মধ্যে মাত্র এক শতাংশেরও কম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুবিধা আছে। কিডনি রোগ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করতে পারলে রোগী সুস্থ হতে পারেন। কিন্তু, বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় নেফ্রলজিস্ট কম। কিডনি রোগ ঠেকাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রতিরোধমূলক চিকিৎসক শুরু করতে হবে।

ঢাকা/সাওন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়