ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার ২৭ ওয়ার্ড

জ‌্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২   আপডেট: ১২:২৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ঢাকার ২৭ ওয়ার্ড

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়

প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ‌্যা। ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৩টি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৪টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুতে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। 

তিনি জানান, ডিএনসিসি ৪০ ওয়ার্ডে ৪৮টি সাইট এবং ডিএসসিসির ৫৮টি ওয়ার্ডে ৬২টি সাইটসহ মোট ১১০টি সাইটে ৩ হাজার ১৫০টি বাড়িতে ডেঙ্গু বিষয়ে সার্ভে করা হয়েছে। ২১টি টিমের মাধ্যমে ১০ দিনের এই সার্ভে পরিচালনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিটি টিম কমপক্ষে ১৫টি সাইট সার্ভে করেছে।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ৩ হাজার ১৫০টি বাড়ির মধ্যে ২ হাজার ৮২৯টি বাড়িতেই নমুনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এর মধ্যে ১৫৯টি বাড়িতে পজিটিভ এসেছে। মোট পজিটিভ আসা বাড়িগুলোর মধ্যে ডিএনসিসি এলাকায় রয়েছে ৬৩টি বাড়ি এবং ডিএসসিসিতে ৯৬টি বাড়ির অবস্থান। 

শতাংশ হিসাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ১০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। 

জরিপে উঠে এসেছে, দুই সিটিতে পড়ে থাকা বা ফেলে রাখা বিভিন্ন রকমের পাত্রে সবচেয়ে বেশি মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এছাড়া, ঘর বা ভবনের মেঝে প্লাস্টিকের ড্রাম বা প্লাস্টিকের নানা ধরনের পাত্রেও এই লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৬ শতাংশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২২ শতাংশ এ ধরনের পাত্রে লার্ভা পাওয়া গেছে। 

১১ থেকে ২৩ আগস্ট দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় এই জরিপ হয়েছে। জরিপকারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২টি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাড়ি পরীক্ষা করেছেন। এসব বাড়িতে তারা মোট ১ হাজার ৩৩৭টি ভেজা পাত্র পেয়েছেন। প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। আর ভেজা পাত্রের হিসাবে প্রায় ২২ শতাংশ পাত্রে মশার লার্ভা ছিল।

অপরদিকে, মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড (কমলাপুর ও মতিঝিল), ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড (নবাবপুর ও বংশাল) এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ড (ওয়ারি ও নারিন্দা) এলাকায়।

ঢাকা/মেসবাহ/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়