‘ম্যাডাম, আপনার নীরবতাই অনেক কিছু বলছে’
নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার তৃতীয় দিনের শুনানি চলছে। বৃহস্পতিবার আদালত গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবু বকর তাম্বাদুকে সূচনা বক্তব্যের সুযোগ দেন।
শুনানির প্রথমার্ধে গাম্বিয়ার হয়ে যুক্তি উপস্থাপন করছিলেন অধ্যাপক ফিলিপ স্যান্ডস। রোহিঙ্গা নির্যাতনে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির নীরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
অধ্যাপক ফিলিপ বলেন, ‘যারা এই ভয়াবহ ধারাবাহিক নৃশংসতার শিকার হয়েছেন মিয়ানমারের সেই নারী ও কিশোরীদের সম্পর্কে একটি কথাও বলেন নি তিনি (সু চি)। প্রতিনিধি ম্যাডাম, (আদালতে সু চির পদমর্যাদা) আপনার নীরবতা আপনার বক্তব্যের চেয়ে অনেক বেশি কিছু বলছে’।
আদালতে এসময় মাথা নিচু করে বসেছিলেন সু চি।
গাম্বিয়ার পক্ষে আরেক আইনজীবী পল রেইচলার জানান, আদালতে এই শুনানির সময়ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ খন্ডনের চেষ্টা করেনি দেশটির পক্ষের প্রতিনিধি বা আইনজীবীরা। রাখাইনের ঘটনায় কোনো সেনা অপরাধ করে থাকলে তাদের বিচার করা হবে বলে মিয়ানমার যে দাবি করেছে তা অবাস্তব।
রেইচলার বলেন, ‘এটা কীভাবে আশা করা যায় যে, তাতমাদো (মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাপ্তরিক নাম) নিজের বিচার নিজেই করবে, যেখানে এর কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল মিন অং হ্লাইংসহ ছয় শীর্ষ জেনারেলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গণহত্যার অভিযোগ এনেছে এবং তাদের ফৌজদারি বিচারের সুপারিশ করেছে’?
তিনি জানান, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার পর রাখাইনে সন্ত্রাসী দমন অভিযানে নেমেছিল সেনাবাহিনী। অথচ আরসার হামলার দুই সপ্তাহ আগে রাখাইনে সেনাদের পাঠানো হয়েছিল বলে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে।
ওই সময় সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং রোহিঙ্গা নিধনের ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘অসমাপ্ত বাঙালি (রোহিঙ্গা) সমস্যা ক্ষমতাসীন সরকার অতিযত্নের সঙ্গে সমাধান করছেন’।
ঢাকা/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন