অ্যাসিড আক্রান্ত পম্পার ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধ
পম্পা দাস। তার মুখ ঝলসে গিয়েছিল অ্যাসিড হামলায়। সুন্দরবন উপকূলের বাসিন্দা পম্পা বলছেন, ‘মুখ পুড়েছে। কিন্তু প্রত্যয় নয়।’
প্রত্যয়কে সম্বল করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন অ্যাসিড হামলার শিকার, সুন্দরবনের পম্পা দাস (২৫)। হারউড পয়েন্ট উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দা পম্পা আর কিছু দিনের মধ্যেই হতে চলেছেন ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ’। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ পর্ব প্রায় শেষ। অস্ত্রোপচারের পরে আস্তে আস্তে মুখ-গলা-হাতের পুড়ে যাওয়া অংশে পড়ছে ত্বকের প্রলেপ। ক্ষত আর একটু মিলিয়ে গেলে শুরু হবে কাজ।
২০১৭ সালের নভেম্বরে পারিবারিক কলহের জেরে কাকদ্বীপের শ্বশুর বাড়িতেই তার ওপরে অ্যাসিড হামলা হয়েছিল। তার পরে একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে ঠাঁই হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে। সেখানে প্রায় ৫ মাস চিকিৎসার পরে ফিরে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু পম্পার। স্নাতক পড়াশোনা শেষ করার পরে তার কাছে আসে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হওয়ার প্রশিক্ষণের সুযোগ।
সুযোগ এলো কীভাবে? দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার হয়। পম্পার কথায়, ‘ওখানেই শুনেছিলাম কলকাতার এক স্বেচ্ছাসেবী-দিদি এবং তাদের সংগঠনের কথা। তিনিই আমাকে জানান, একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর) প্রকল্পে অ্যাসিড হামলার শিকার মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যোগাযোগ করি।’
ওই সংস্থার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সঞ্জীবন সরকার তার ব্যারাকপুরের বাড়িতেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। তার কথায়, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পম্পা আমাদের সংস্থাতেই চাকরি পাবেন।’
সঞ্জীবন বলেন, ‘মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়। রোদে পুড়তে হয়। তেমন কাজ করার মতো শারীরিক সক্ষমতাও অর্জন করতে হবে ওকে। তবে আমরা সবরকমের সাহায্য করব।’
তথ্য ও ছবি : আনন্দবাজার
ঢাকা/সাইফ/নাসিম
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন