ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জনসনকে সতর্ক করা বাংলাদেশি চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:০২, ১০ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জনসনকে সতর্ক করা বাংলাদেশি চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু

জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার (এনএইচএস) কর্মীদের জন্য আরো বেশি ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) নিশ্চিত না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসক আব্দুল মাবুদ চৌধুরী। সহকর্মীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই বাংলাদেশি প্রবাসী চিকিৎসক করোনা যুদ্ধে হার মানলেন। হাসপাতালে ১৫ দিন লড়াই করে বুধবার মৃত্যুকে বরণ করলেন ৫৩ বছর বয়সী এই চিকিৎসক।

২০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান মাবুদ। ব্রিটেনে করোনার সংক্রমণের পর থেকে আক্রান্ত রোগী তো বটেই, সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগে ছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য পিপিইর প্রয়োজন জানিয়ে গত ১৮ মার্চ জনসনকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে পোস্ট দেন।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে বরিস জনসনকে সতর্ক করে একটি চিঠি লেখেন ড. চৌধুরী। তাতে তিনি শঙ্কার কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘অনুগ্রহপূর্বক যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবার প্রত্যেক এবং সব কর্মীর জরুরি ভিত্তিতে পিপিই নিশ্চিত করুন।’

‘মনে রাখবেন আমরা চিকিৎসক/নার্স/স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কিন্তু আমরাও মানুষ, যাদের আর সবার মতো অধিকার রয়েছে; পরিবার-সন্তানের সঙ্গে রোগমুক্ত বিশ্বে বসবাসের।’

পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ফয়সাল নামে পরিচিত মাবুদ পূর্ব লন্ডনে কনসালট্যান্ট ইউরোলজিস্ট ছিলেন। তার ভাই জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টায় রমফোর্ডের কুইন্স হাসপাতালে মারা যান মাবুদ। স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তার ভাই লিখেছেন, ‘বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করছি, আমার ভাইয়ের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’

মাবুদের বন্ধু আদনান পাভেল তাকে তরুণ ব্রিটিশ বাংলাদেশির জন্য ‘উদ্যমী’ পরামর্শক আখ্যা দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, ‘সে ছিল খুব ভালো মানুষ। সবসময় সবার উপকার করতো। প্রাণবন্ত একজন ছিল সে।’

 

ঢাকা/ফাহিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়