ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

সামাজিক দূরত্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করছে ইকুয়েডর

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সামাজিক দূরত্বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করছে ইকুয়েডর

বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। প্রতিনিয়ত মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের।

করোনাভাইরাস ও অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা আনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে অনেক দেশ। তাইতো লকডাউনের মধ্যেও সীমিত পরিসরে হলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরও লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করতে যাচ্ছে মে মাসের ৪ তারিখ থেকে।

শনিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফেরা উচিত। স্বাস্থ্যবিধি, করোনাভাইরাস ও অর্থনীতির মধ্যে একটা সামঞ্জস্য আনা উচিত। আমাদের দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। সে কারণে আমরা সাহসী হচ্ছি আইসোলেশন ভেঙে সামাজিক দূরত্বের ধাপে যেতে। এমন সিদ্ধান্ত আমরা বিভিন্ন ডাটার ভিত্তিতেই নিয়েছি।’

তবে পরিস্থিতির যদি আবার অবনতি ঘটে, হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ে, তাহলে সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন তিনি, ‘সবাই খুব সাবধানে থাকবেন। দ্বিধান্বিত হওয়ার সুযোগ নেই। দেশের জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া হয়নি। আমরা কেবল একটি ধাপে যাচ্ছি। আমাদের পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক পদ্ধতি আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে।’

ইকুয়েডর সামাজিক দূরত্ব মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করলেও ৬০ বছরের বেশি বয়সী কেউ ঘরের বাইরে বেরুতে পারবেন না। যারা প্রতিবন্ধী ও দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখে ভুগছেন তারাও বের হতে পারবেন না। বের হতে পারবেন না যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে আছেন তারাও।

দেশব্যাপী লকডাউন দুপুর ২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে।

কোন কোন শিল্প কারখানা খোলা হবে সেটা শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে পানশালা, নাইটক্লাব, জিম, থিয়েটার, স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাসে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ের দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ৭১৯ জন। মারা গেছে ৫৭৬ জন। শুক্রবার দেশটিতে একদিনেই ১১ হাজার ৫৩৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিল ১৬ জন। বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছিল ৩৩৩ জন। মারা গিয়েছিল ২৩ জন। যদিও শনিবার সেখানে আক্রান্ত ও মারা যাওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

 

ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়