ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

উহানের গবেষণাগারে করোনাভাইরাস ছিল, তবে…

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২৪ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
উহানের গবেষণাগারে করোনাভাইরাস ছিল, তবে…

চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি জানিয়েছেন বাদুড়ের শরীরে থাকা করোনাভাইরাসের তিনটি প্রজাতি তাদের গবেষণাগারে রয়েছে। কিন্তু তার একটির সঙ্গেও প্রাণঘাতী নোভেল করোনাভাইরাসের মিল নেই। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ওয়াং ইয়েনি শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এ পর্যন্ত তিন লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাদুড়ের শরীর থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। তাই উহানের ওই গবেষণাগারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। জল্পনা শুরু হয়, ওই গবেষণাগার থেকেই কোনওরকমে ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করেছেন ওয়াং ইয়েনি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াং দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও অন্যরা উহানের গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়ানোর যে কথা প্রচার করছেন তা ‘পুরোপুরি মিথ্যা গল্প।’

তিনি বলেন, উহানের ‘ভাইরোলোজি সেন্টার বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে এবং সেখানে বাদুরের কাছ থেকে পাওয়ার কিছু করোনাভাইরাস রয়েছে।’

ওয়াং বলেন, ‘বাদুড়ের শরীর থেকে জীবন্ত করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা  চলছিল। এই মুহূর্তে গবেষণাগারে তিনটি জীবন্ত প্রজাতি রয়েছে। কিন্তু সার্স-কোভিড-২-এ সঙ্গে সেগুলির ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ মিল রয়েছে।’

ভাইরোলোজি সেন্টারের এই পরিচালক জানান, তার সহকর্মী অধ্যাপক শি ঝেঙ্গলি সিভিয়ার বাদুড়ের কাছ থেকে ছড়ানো অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম (সার্স) ভাইরাসের উৎপত্তি খুঁজে বার করতে ২০০৪ সাল থেকে গবেষণা করছেন। কিন্তু সার্স-কোভিড-২ ও সার্সের মধ্যে ৮০ শতাংশ মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। তাই এটা সুনিশ্চিতভাবেই ভিন্ন ভাইরাস।


ঢাকা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়