ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যুদ্ধের গতিতে করোনার টিকা উন্নয়নে কাজ করছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৭, ৭ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যুদ্ধের গতিতে করোনার টিকা উন্নয়নে কাজ করছে চীন

করোনা প্রতিরোধে যুদ্ধকালীন গতিতে টিকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে চীন। দেশটির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেক চলতি মাসে বিশ্বের তৃতীয় এবং চীনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিকার চূড়ান্ত ট্রায়াল শুরু করেছে।

ধারণা করা হয়, চীনের উহান শহর থেকেই প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়। করোনা মোকাবিলায় দেশটির সরকার, সামরিক বাহিনী এবং বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করেছে।

টিকার উন্নয়ন দৌঁড়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ বেসরকারি ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তবে এ ক্ষেত্রে চীনকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। দেশের ভেতরে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সফলতার কারণে টিকার ব্যাপক মাত্রার ট্রায়াল এই মুহূর্তে অভ্যন্তরীণভাবে করা সম্ভব নয় চীনের পক্ষে। মিত্র গুটিকয়েক দেশ এ ক্ষেত্রে চীনকে সহযোগিতা করতে রাজী হয়েছে। টিকার ট্রায়াল শেষ হলে এর নিরাপত্তা সম্পর্কেও বিশ্বকে সন্তুষ্ট করতে হবে বেইজিংকে।

টিকার উন্নয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে থাকতে চীন সরকার এবার সরাসরি মাঠে নেমেছে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে ‘যুদ্ধকালীন গতিতে’ কাজ করে দুটি টিকার প্লান্ট নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। কর্মীদের ওপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মেডিকেল রিসার্চ ইউনিট করোনার সংকট মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে কাজ করেছে। এবার সেই সেনাবাহিনী টিকার উন্নয়নে ক্যানসিনোসহ বেসরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।

পশ্চিমাদের প্রথাগত কর্তৃত্ববাদী শিল্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চীনের ১৯টি টিকার মধ্যে আটটিই এখন মানুষের ওপর ট্রায়াল চালাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিনোভ্যাক, সামরিক বাহিনী ও সিনোভ্যাকের যৌথ প্রকল্প এবং ক্যানসিনো।

চীন  মূলত ‘নিস্ক্রিয় টিকা প্রযুক্তি’র ওপর বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। সুপরিচিত এই প্রযুক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জা ও হামের মতো টিকার উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিপরীত দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা এবং জার্মানির কিউরভ্যাক ও বায়োএনটেক নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। আরএনএ বার্তা নামের এই প্রযুক্তি এর আগে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো কোনো পণ্যের আবিষ্কারে অনুমোদন দেয়নি।

 

 

ঢাকা/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়