ঋণের ভারে ডুবছে বিশ্ব
ঋণের ভারে ডুবতে বসেছে বিশ্ব। আন্তর্জাতিক বাজারে ঋণের পরিমাণ এতোটাই বেড়েছে যে, গত বছরের প্রথম ৯ মাসেই বৈশ্বিক ঋণের হার মোট দেশজ উৎপাদনের হারকে অতিক্রম করে গিয়েছে।
ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স জানিয়েছে, গৃহস্থালি ঋণ, সরকারি ও বেসরকারি ঋণের সমন্বয়ে গঠিত বৈশ্বিক ঋণ ৯ হাজার কোটি ডলার বেড়ে প্রায় ২৫৩ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক ঋণ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের হার ৩২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই হার ২০১৬ সালের হারের তুলনায় কিছুটা বেশি। ওই বছরই বিশ্বে ঋণের হার ছিল সবচেয়ে বেশি।
বৈশ্বিক ঋণের অর্ধেকের বেশি পুঞ্জিভূত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর বাজারে। এই দেশগুলোর ঋণ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের হার সব মিলিয়ে ৩৮৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিউ জিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও নরওয়ের মতো উন্নত দেশগুলো তাদের গৃহস্থালি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় বরাবরই সরকারি ঋণ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের হার সবসময় বেশি।
উদীয়মান দেশগুলোর বাজারে অবশ্য ঋণের মাত্রা তুলনামুলকভাবে কম। এই দেশগুলোর মোট ঋণের পরিমাণ ৭২ হাজার কোটি ডলার। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তাদের ঋণের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছে ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স।
উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে চীনের ঋণ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের হার সবচেয়ে বেশি-৩১০ শতাংশ। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলির চাপের কারণে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ঋণের পরিমাণ কমলেও গত বছর তা আবার বাড়তে শুরু করেছে।
ইনিস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স তাদের বৈশ্বিক ঋণ প্রতিবেদনে বলেছে, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য এ ধরনের বিশ্বব্যাপী ঋণ সত্যিকারার্থে ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এরপরও ২০২০ সালে ঋণের মাত্রা বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘সুদের হার কমানোয় এবং আর্থিক পরিস্থিতির অবনমনে আমাদের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালের প্রথম তিনমাসে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ ২৫৭ ট্রিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে যাবে’।
ঢাকা/শাহেদ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন