ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘রেইডার্স ইন কাশ্মির’ নিয়ে নতুন করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আলোচনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ১৪ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২২:৩৬, ১৪ অক্টোবর ২০২০
‘রেইডার্স ইন কাশ্মির’ নিয়ে নতুন করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আলোচনা

কাশ্মির নিয়ে সত্তরের দশকে পাকিস্তানের এক সাবেক সেনা কর্মকর্তার লেখা বইকে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম। আমজাদ আইয়ুব মির্জা নামের এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক নিউজ এইটিন নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মতামতে দাবি করেছেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আকবর খান তার লেখা ‘রেইডার্স ইন কাশ্মির’ বইটিতে কাশ্মির সংঘাত নিয়ে ইসলামাবাদের ভূমিকা স্বীকার করলেও দুঃখজনকভাবে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে পাকিস্তান সেনাদের আগ্রাসী ভূমিকার কথা এড়িয়ে গেছেন। 

আকবর খান তার তার বইটিতে ১৯৪৭ সালে কাশ্মিরে পরিচালিত পাকিস্তানের অপারেশন গুলমার্গের বিশদ বিবরণ দিয়েছিলেন।  বইটি প্রকাশের আগে এই অভিযানের বিষয়টি অনেকের কাছে অজানা ছিল। মেজর জেনারেল আকবর তার বইতে স্বীকার করেছেন, দেশভাগের পর কাশ্মিরে যে সংকট দেখা দিয়েছে তাতে লাহোর এবং পিন্ডির শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সায় ছিল। 

ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা আকবর খান ১৯৪৭ সালে সশস্ত্র বাহিনীর পার্টিশন সাব কমিটির দায়িত্বে ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি তখন  জম্মু ও কাশ্মিরের শাসনকর্তা মহারাজা হরি সিংয়ের মোট সেনা ও পুলিশ সদস্যের সংখ্যা যে ৯ হাজার ছিল তা জানতে পেরেছিলেন। এর ফলে তিনি মহারাজার বাহিনীর ওপর আকস্মিক হামলার ছক কষতে পেরেছিলেন। ওই সময় পাকিস্তান কাশ্মিরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছিল। পাকিস্তান তখন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করে কাশ্মিরের দখল নেওয়া হবে।

আমজাদ আইয়ুব মির্জা দাবি করেছেন, আকবর খানের বইয়ে লিপিবদ্ধ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো সাক্ষ্য দেয় যে, উপজাতীয় বাহিনীসহ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিয়মিত সদস্যরা কাশ্মীরে আক্রমণ চালিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কীভাবে লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ও স্থানীয়দের সঙ্গে নির্মম আচরণ করেছিল সেই বিবরণও বইটিতে রয়েছে।


 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়