ফাইজারের করোনার টিকা রাখতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে
যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ইনকরপোরেশন ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক সোমবার জানিয়েছিল, তাদের উন্নয়ন করা করোনার টিকা ৯০ ভাগেরও বেশি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে জনসাধারণের জন্য শিগগিরই টিকাটি স্থানীয় ওষুধের দোকানগুলোতে আসছে না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, টিকাটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু স্থানীয় ওষুধের দোকানই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে অভিজাত হাসপাতালটিতেও টিকাটির সংরক্ষণ ব্যবস্থা নেই। সেই হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা দরিদ্র দেশগুলোর পক্ষে এই টিকা সংরক্ষণ করা প্রায় অসাধ্য।
টিকাটিকে এই তাপমাত্রায় সংরক্ষণের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, টিকা তৈরিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কার্যকর করতে এতে সিনথেটিক এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
জনস হপকিন্স সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির গবেষক আমিশ আদালজা বলেছেন, ‘এই টিকা সরবরাহের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে শীতল ব্যবস্থা। সব জায়গাতেই এটি চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ বড় শহরের হাসপাতালগুলোতেও এতো নিম্ন তাপমাত্রায় কোনো টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই।’
মায়ো ক্লিনিকের ভাইরাস ও টিকা গবেষক ড. গ্রেগরি পোল্যান্ড বলেন, ‘আমরা এমন একটি টিকার বিষয়ে কথা বলছি যেটি মাইনাস ৭০ বা ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। এটি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই অনেক বেশি লজিস্টিক্যাল বিষয় নয়, বরং পশ্চিমা দুনিয়ার বাইরেও।’
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন