ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাইডেনের কাছ থেকে যেসব সুবিধা পেতে পারে চীন (ভিডিও)

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ১২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১০:৫৮, ১২ নভেম্বর ২০২০

ক্ষমতায় আসার এক বছরের মাথায় ফ্লোরিডার মার এ লাগোর অবকাশযাপন কেন্দ্রে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘চমৎকার চকলেট কেক’ খেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে তিনি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সেই বন্ধুত্বে ধস নামতে বছরও ঘোরেনি। ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করে ‘ট্যারিফ ম্যান’ খেতাব পেয়ে যান তিনি।

চীনের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের বিবাদ বাণিজ্যযুদ্ধ পর্যন্ত থেমে থাকেনি। বেইজিংয়ের দীর্ঘ দিনের ‘এক চীন নীতি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। তিনি চীনের হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছেন, হংকং, তিব্বত ও শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনে বেইজিংয়ের সমালোচনা করেছেন। করোনাভাইরাস মহামারির জন্য এককভাবে তিনি চীনকে দায়ী করেছেন। করোনাভাইরাসের নাম দিয়েছেন ‘চায়না ভাইরাস’। অর্থাৎ চীনকে এক হাত নেওয়ার কোনো সুযোগই ছাড়েননি ট্রাম্প।

৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন ডেমোক্রেট দলের জো বাইডেন।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বাইডেন কি চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করবেন? নাকি তিনি ট্রাম্পের দেখানেই পথেই হাঁটবেন?

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কিংবা নির্বাচনের আগে বাইডেনের লেখা বিভিন্ন নিবন্ধ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ট্রাম্প চীনকে দেখতেন প্রতিপক্ষ হিসেবে। আর বাইডেনের চোখে চীন হচ্ছে প্রতিযোগী। সেই হিসেবে চীনের প্রতি ‘সুর ও কৌশলে’ হয়ত কিছু বদল দেখা যেতে পারে। তিনি হয়তো কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতার রাস্তা খুঁজবেন।

বাইডেন জানিয়েছেন, বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে চীনা পণ্য আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয় নিয়ে কী করা যায় তা নিয়ে তিনি মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যহারের প্রতিশ্রুতি দেননি।

তবে হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর, শিনজিয়াং এবং চীনের ধর্মীয় ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার হতে পারেন বাইডেন। জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনে মুসলিম সংখ্যালঘু উইঘুরদের ওপর চীনা নিপীড়নকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

চীনের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক স্টেট কাউন্সিলের পরামর্শক শি ইনহং বলেছেন, ‘তাইওয়ান, হংকং,  দক্ষিণ চীন সাগর, শিনজিয়াং, তিব্বত এবং চীনের ধর্মীয় ও মানবাধিকার পরিস্থিতি ইস্যুতে বাইডেনের প্রশাসনের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য হবে না। তবে ট্রাম্পের মতো বাইডেন বন্য, অশ্লীল ও অস্থির নন। তাই তার কাছ থেকে ওয়াশিংটনের চীন নীতিতে অনেক বেশি স্থিতিশীলতা আশা করা যায়।’

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়