ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যেমন হতে পারে বাইডেনের নীতি (ভিডিও)

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৩ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৯:০৬, ১৩ নভেম্বর ২০২০

নতুন মার্কিন নির্বাচনে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত জো বাইডেন। ট্রাম্প যেসব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু কিংবা মিত্র বানিয়েছেন তাদের ব্যাপারে বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি কী হবে স্বাভাবিকভাবেই সেই বিষয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

ট্রাম্প তার শাসনামলের প্রথমেই তীর ছুঁড়েছিলেন ইরানকে লক্ষ্য করে। দেশটির পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন ঠেকাতে শক্তিধর দেশগুলো যখন তেহরানের সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল, তখন ট্রাম্প ওয়াশিংটনকে সেই চুক্তি থেকে বের করে নিয়ে আসেন। অবশ্য উত্তর কোরিয়া আনবিক বোমা ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালানোর পর ট্রাম্প আলোচনার কথা বলে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন দেশটির শীর্ষনেতা কিম জং উনকে।

২০১৬ সালে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার উত্তর কোরিয়া একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। কূটনীতিতে অনভিজ্ঞ ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া ও দেশটির শীর্ষনেতা উনকে একের পর এক হুমকি-ধমকি দেন। ২০১৭ সালে উনকে ট্রাম্প বলেছেন ‘রকেটম্যান’, জবাবে উন ট্রাম্পকে বলেছেন ‘ভীমরতিগ্রস্ত বৃদ্ধ’। অবশ্য বছর ঘুরতেই রকেটম্যান ও ভীমরতিগ্রস্ত বৃদ্ধ পরস্পরকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এমনকি দুজন দুজনের ‘প্রেমে পড়েছেন’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই প্রেম উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরিয়ে আনতে পারেনি।অ

ক্টোবরে ট্রাম্পের সঙ্গে নির্বাচনী বিতর্কে বাইডেন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া গণতন্ত্র মানে না। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই তার সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে পারে না। এর আগে উনকে ‘খুনি স্বৈরশাসক’ বলেছিলেন বাইডেন। এর জবাবে কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ মন্তব্য প্রতিবেদনে বলেছিল ‘জো বাইডেন ধূর্ত প্রকৃতির লোক, উনি ক্ষমতার লোভে উন্মাদ হয়ে গেছেন। ক্ষমতা ও অর্থের লোভে উনি এখন অন্যের গলা চেপে ধরতে চান। পিটুনিতে হত্যার শিকার হওয়াই এখন তার প্রাপ্য।’

ওবামা আমলে উত্তর কোরিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এমনকি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা যে তেমন কোনো কাজে আসেনি তার প্রমাণ মেলে ওবামার বিদায়ের পরপর।

বাইডেন এখনও উত্তর কোরিয়ার নিরস্ত্রীকরণে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি যে কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করবেন সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্পের মতো কেবল ফটোশ্যুট বৈঠকে যে তিনি বসবেন না তার ইঙ্গিত বাইডেন আগেই দিয়েছেন। তিনি হয়তো চাইবেন, বৈঠকের আগে কিম জং উন যেন অন্তত পরমাণু অস্ত্র ত্যাগের ঘোষণা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া যদি বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মত না হয় তাহলে তিনি হয়তো প্রথাগত কূটনীতি,অর্থাৎ মিত্রদের সঙ্গে জোট বেঁধে নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটবেন। তবে প্রথাগত কূটনীতি যদি কাজে না আসে তাহলে বাইডেন নতুন কোন পথে হাঁটেন তা দেখতে বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়