ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কবে কারা পাচ্ছে করোনার টিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৫ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:০৪, ২৬ নভেম্বর ২০২০
কবে কারা পাচ্ছে করোনার টিকা

যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার ও মর্ডানা ইনকরপোরেশন দাবি করেছে তাদের উন্নয়ন করা করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর। যুক্তরাজ্যের আস্ট্রাজেনেকা  জানিয়েছে, তাদের টিকা ৯০ শতাংশ কার্যকর। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিকার অনুমোদন দিলে দ্রুত বিশ্বব্যাপী টিকার বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারীরা। আর তখন সরকারগুলোই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কখন কীভাবে টিকা দেওয়া শুরু হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফাইজার, মর্ডানা ও আস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে টিকা উৎপাদন শুরু করেছে। ফাইজার আড়াই কোটি, মর্ডানা এক কোটি এবং আস্ট্রাজেনেকা ১০ কোটি মানুষকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ করতে পারবে বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সারাদেশে টিকা বিতরণ ব্যবস্থাপনার কাজটি করবে। প্রাথমিকভাবে আগামী মধ্য-ডিসেম্বরে তারা দেশজুড়ে ৬৪ লাখ টিকা বিতরণ করবে।

যুক্তরাজ্যও ডিসেম্বরে টিকা দান কর্মসূচি শুরু করবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ কবে কখন টিকার কর্মসূচি শুরু করবে সেই সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানিয়েছে, তারা প্রথমেই দুই কোটি ১০ লাখ স্বাস্থ্যকর্মী এবং সেবাকেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ৩০ লাখ মানুষকে আগে টিকা দেবে। এর পরের ধাপে রয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়োজিত আট কোটি ৭০ লাখ কর্মী। এদের মধ্যে রয়েছেন অগ্নিনির্বাপন কর্মী, পুলিশ, স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবহন কর্মী, খাদ্য ও কৃষিকর্মী এবং খাদ্যসেবা কর্মী। তৃতীয় ধাপে থাকবেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা ১০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক  এবং ৬৫ বছরের বেশি পাঁচ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। তবে শিশুদের জন্য কখন টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যাবে তা জানা যায়নি। আগামী বছরের এপ্রিলে ওষুধের দোকান, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বারে করোনার টিকা পাওয়া যাবে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ডিসেম্বরে টিকার নিরাপত্তার ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। অধিকাংশ দেশই জানিয়েছে, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বয়স্ক ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠী এবং চিকিৎসকদের মতো সামনের সারির কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। ইতালি জানিয়েছে, তারা আগামী বছরের শুরুতে ফাইজার ও আস্ট্রাজেনেকার টিকা পাওয়ার আশা করছে। জানুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করছে স্পেন। মার্চ-এপ্রিলে টিকার প্রথম চালান পাওয়ার প্রত্যাশা বুলগেরিয়ার। আগামী বছরের শুরুতে টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে জার্মানি।

দরিদ্র দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের জন্য কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জিআইভিআই ধনী দেশ ও অলাভজনক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। প্রথম পর্যায়ে দরিদ্র দেশগুলোর তিন শতাংশ এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে টিকা সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়