বিশ্বের আইনপ্রণেতাদের এক চতুর্থাংশের বেশি নারী
বিশ্বব্যাপী আইনপ্রণেতাদের এক চতুর্থাংশের বেশি নারী। তবে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের অগ্রগতি এতোটাই কম যে, বর্তমান হার অব্যাহত থাকলে লিঙ্গভিত্তিক সমতা অর্জন করতে হলে আরও ৫০ বছর সময় লাগবে। ‘পার্লামেন্টে নারী’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন।
১৭৯টি দেশ ও ১৩টি অঞ্চলের পার্লামেন্টের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থাটি বলেছে, ‘বর্তমান হারে বিশ্বব্যাপী পার্লামেন্টে লিঙ্গভিত্তিক সমতা অর্জনে আরও ৫০ বছর লাগবে।’
২০২০ সালে বিশ্বে নারী আইনপ্রণেতা ছিলেন ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এর আগের বছরের তুলনায় এই হার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। ১৯৯৫ সালে পার্লামেন্টে নারীর অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশে পুরুষদের সমান সংখ্যক নারী আইনপ্রণেতা রয়েছেন। এগুলো হচ্ছে- কিউবা, রুয়ান্ডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর বাইরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি নারী আইনপ্রণেতা রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের ২৬ দশমিক ৯ শতাংশ আসন নারী আইনপ্রণেতাদের দখলে। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় নারী আইনপ্রণেতা রয়েছেন ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ, যা বিশ্বে সর্বনিম্ন। তবে পাপুয়া নিউ গিনি, মাইক্রোনেশিয়া ও ভানুয়াতুতে কোনো নারী আইনপ্রণেতা নেই।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংঅং জানিয়েছেন, পার্লামেন্টে নারীর অংশগ্রহণ বাড়তে কোটা ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ২০২০ সালে আবারও কোটা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা দেখতে পেয়েছি, যেখানে বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা, সুপরিকল্পনা ও উচ্চাভিলাষ নারীর রাজনৈতিক ও পার্লামেন্টীয় প্রতিনিধিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন