ইতিহাসের চরম সংকটময় মুহূর্তে ব্রাজিল
ইতিহাসের সবচেয়ে চরম সংকটময় মুহূর্তে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য সেবা খাত। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক দিকে চিকিৎসকরা হতবিহ্বল, আরেকদিকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে বেড পাওয়ার অপেক্ষা করতে করতেই মারা যাচ্ছে রোগী।
চলতি সপ্তাহে ব্রাজিলে করোনার সংক্রমণ রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত বুধবার দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ৯০ হাজার ৮৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর মারা যায় দুই হাজার ৭৯৮ জন কোভিড-১৯ রোগী।
ব্রাজিলের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ফিওক্রাজের গবেষকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি এখন নজিরবিহীন ‘বিপর্যয়ের’ মুখে।
দেশের ২৬টি রাজ্য ও রাজধানী ব্রাসিলিয়াসহ ফেডারেল জেলাগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে এখন রোগী নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ‘পরিস্থিতি একেবারেই নাজুক।’
ব্রাজিলে করোনায় এ পর্যন্ত দুই লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। করোনায় মৃতের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরই ব্রাজিলের অবস্থান। এরপরও দেশটির প্রেসিডেন্ট সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টিকে তিনি রীতিমতো তামাশায় পরিণত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর দলের নেতা রিকার্ডো ব্যারোজ বুধবার পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘আমাদের পরিস্থিতি এতোবেশি জটিল নয়। অন্য দেশের তুলনায় পরিস্থিতি বেশ ভালো।’
তবে দেশটির চারটি রাজ্যের চিকিৎসকরা যে তথ্য দিয়েছেন তাতে দেখা যায়, রিকার্ডো ব্যারোজ পার্লামেন্টে পুরোপুরি মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছেন।
মাতো গ্রোসো ডো সুল রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের প্রধান হারমিতো প্যাসচোয়ালিক বলেছেন, ‘সবকিছু এখন মরিয়া।’
হারমিতো জানান, তিনি তার সহকর্মীদের চোখে অবসাদের অশ্রু দেখেছেন এবং বিপুল সংখ্যক রোগীকে সামাল দিতে দিয়ে তাদেরকে হতাশা গ্রাস করেছে।
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন