ছোট্ট ফিলিস্তিনি দলের ওপর নির্ভর করছে নেতানিয়াহুর ভাগ্য?

ইসরায়েলের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা সম্ভবত নির্ভর করছে একটি ক্ষুদ্র ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি দলের ওপর। পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রধান দলগুলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

ইউনাইটেড আরব লিস্ট (ইউএএল) দলটির হিব্রু নাম রাম। ১২০ সিটের নেসেটে দলটি চারটি আসন পেয়েছে। তবে এই দলটিই হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও দপ্তরে ফিরতে পারবেন কিনা।

নেতানিয়াহুর জন্য অবশ্য ব্যাপারটা অস্বস্তির। কারণ তিনি বরাবরই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন। শুধু তাই, নির্বাচনী প্রচারণায় আরব সংখ্যালঘুদের প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নেতানিয়াহুর জোট ইয়ামিনা ৫৯ আসন পেয়েছে। অন্য কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। অর্থাৎ নেতানিয়াহু কিংবা তদার বিরোধী জোটের নেতা নাফতালি বেনেটকে সরকার গঠন করতে হলে মনসুর আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ইউএএলের সহযোগিতা লাগবে।

কোন দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় গত দুই বছরে ইসরায়েলে চারবার পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নেতানিয়াহুর সরকার ইহুদিবাদী দলগুলোর সমর্থন না পেলে কিংবা ইউএলের সঙ্গে নেতানিয়াহু জোট না করলে নিশ্চিতভাবেই আরেক দফা নির্বাচনের কবলে পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েল।

আল-জাজিরার রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা বলেছেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। তবে আমি মনে করি না বাস্তবে চরম ডানপন্থি নাফতালি বেনেট কখনো আব্বাসের সঙ্গে বসতে চাইবে। নিশ্চিতভাবেই ওই জোটের সবচেয়ে উগ্রপন্থি মৌলবাদী ইহুদি দল জায়োনিস্ট রিলিজিয়াস পার্টি কখনোই ইসলামি দলের সঙ্গে বসতে চাইবে না। আগামী ৪৫ দিন আমারা অসংখ্য কৌশল দেখতে পাব।’