খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কাবুলের পার্কে শত শত আফগান পরিবার
রাজধানী কাবুলের একটি পার্কে অবস্থান নিয়ে খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য কাকুতি মিনতি করছে শত শত আফগান পরিবার। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মানবিক পরিস্থিতি কতোটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে তীব্র রোদের মধ্যে বসে থাকা আফগান পরিবারগুলো অবস্থান তা তুলে ধরেছে।
চলতি মাসে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ তালেবানের কবজায় আসতে শুরু করে। গত ১৫ আগস্ট তারা রাজধানী কাবুল দখল করে। সাবেক সরকারের পতন ঘটার পর থেকে দেশটিতে এখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হাজার হাজার আফগান দেশ ত্যাগের জন্য বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছে, অনেকে তাদের প্রদেশ থেকে এসে রাজধানীর পার্কে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এই মানুষগুলো জানে না, কখন দেশের পরিস্থিতি শান্ত হবে।
প্রখর রোদের মধ্যে বসে থাকা গৃহবধূ জাহিদা বিবি বলেন, ‘আমি বাজে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। আমার মাথা ব্যথা করছে, খারাপ অনুভব করছি, আমার পেটে কোনো খাবার পড়েনি।’
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল থেকে আসা আহমেদ ওয়াসিম জানান, তাদের আশা কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রতি মনোযোগ দেবে।
তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পার্কে ও বিমানবন্দরে থাকা লোকদের তারা খাবার দিচ্ছেন না। কারণ এতে আরও ভিড় সৃষ্টি হবে। এই মানুষগুলোর উচিত তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া।
পশ্চিমা সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্ট ও সরকারের অনেক কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তালেবান ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোতে তাদের নিজস্ব লোক বসিয়েছে। তারা কর্মকর্তাদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এখনও অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু হয়নি, ব্যাংকগুলোও পুরোপুরি খোলা হয়নি।
উত্তর আফগানিস্তান থেকে আসা ফালওয়ান সামির জানান, তার শহরে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তারা পরিবার নিয়ে কাবুলে চলে আসেন।
তিনি বলেন, ‘তীব্র যুদ্ধে ও বোমাবর্ষণ হয়েছে। তাই আমরা এখানে এসেছি। বাড়িঘর পুড়ে গেছে এবং আমরা গৃহহীন হয়ে গেছি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিধিনিষেধের কারণে কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের কাছে আর মাত্র এক সপ্তাহ চালানোর মতো ওষুধ আছে। আর বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, জরুরিভিত্তিতে আফগানিস্তানে ২০ কোটি ডলারের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন