ঢাকা     বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩১

আদানির বকেয়া পরিশোধে ভারতের কাছ থেকেই ঋণ নিতে চেয়েছিলেন হাসিনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৭, ১০ নভেম্বর ২০২৪   আপডেট: ২০:২৫, ১০ নভেম্বর ২০২৪
আদানির বকেয়া পরিশোধে ভারতের কাছ থেকেই ঋণ নিতে চেয়েছিলেন হাসিনা

আদানি পাওয়ারসহ ভারতীয় বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর পাওনা মেটাতে নয়াদিল্লির কাছ থেকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দু বিজনেসলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত ২০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ভাবছিল ভারত। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সাথে সাথে আলোচনা স্থগিত করে দেয় ভারত। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত আলোচনা নবায়নের জন্য এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি নয়াদিল্লি।

বিষয়টি পর্যবেক্ষণকারী একটি সূত্র বিজনেসলাইনকে বলেছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বিগত সরকার বিদ্যুৎ খাতের ভারতীয় কোম্পানি, বিশেষ করে আদানি পাওয়ারের বকেয়া মেটাতে ভারত সরকারের সঙ্গে ঋণ নিয়ে আলোচনা করেছিল। বিষয়টি সহজ করার জন্য প্রায় ২ শতাংশের সুদ ছাড়ের ব্যাপারটি বিবেচনাধীন ছিল। যাইহোক, হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর আলোচনা ভেস্তে গেছে।’

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ ডলারের সংকটে পড়ে। ওই সময় থেকে দেশটির বিদ্যুতের বিল বকেয়া হতে শুরু করে। আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডে  ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৮০ কোটি ডলার বকেয় থাকায় তারা চলতি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তবে  বাংলাদেশ আদানির জন্য ১৭ কোটি ডলারের ঋণপত্র খুলেছে এবং অর্থ পরিশোধ ত্বরান্বিত করেছে।

আদানি পাওয়ার ছাড়াও আরো চারটি ভারতীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তারাও বাংলাদেশের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এসইআইএল এনার্জি, এনটিপিসি, পিটিসি এবং পাওয়ার গ্রিড। এদের মধ্যে আদানির পাওনা সবচেয়ে বেশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বিজনেসলাইনকে বলেছে, ‘ভারত থেকে ২০০ কোটি ডলারের ঋণ বাংলাদেশকে তার বকেয়া পরিশোধে ব্যাপকভাবে সাহায্য করতে পারত। একভাবে এটা ভারত সরকারের জন্য ভালো হয়েছে যে, বাংলাদেশ ঋণটি পায়নি। কারণ হাসিনা সরকারের পতনের পর ঋণের অর্থ খুঁজে পাওয়া কঠিন হতে পারতো।’

ঢাকা/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়