ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারী প্রয়োজন’

নাজমুল ইসলাম ফারুক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১৮ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৯:৪৫, ১৮ জানুয়ারি ২০২১
‘শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারী প্রয়োজন’

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী

বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। প্রখ্যাত এই অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রজীবন শেষে ১৯৮১ সালে বাংলদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছর বিআইবিএম-এ তিনি কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার কোশাইয়াম গ্রামে জন্ম নেওয়া অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য। এছাড়াও তিনি ঢাকা স্কুল অব ইকোনোমিক্সের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। রাইজিংবিডি’র সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেট নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

রাইজিংবিডি: বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) একাডেমিক কার্যক্রম পুরোদমে কবে চালু হবে?

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তারা তাদের নির্ধারিত কাজের বাইরে বিএএসএম-এর ট্রেনিং প্রোগ্রাম করাচ্ছেন। আমাকে এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো- একাডেমির সম্পূর্ণ কার্যক্রম চালু করা। আমি যোগদান করেছি কিন্তু আমার ফ্যাকাল্টি এখনো নিয়োগ হয়নি। ফ্যাকাল্টি নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। মাসখানেকের মধ্যেই আশা করছি, একাডেমিক কার্যক্রম প্রক্রিয়া শুরু হবে।

রাইজিংবিডি: বিএএসএম-এর কোর্স বা প্রোগ্রাম পরিকল্পনার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: কোর্সের বিষয়ে বিএসইসিতে পূর্বে কর্মরত ছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা আমার সাথে সহযোগিতা করছেন। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে আমরা পুরোপুরি পরিকল্পনাসহ কোর্স চালু করতে পারবো। ইতোমধ্যে একটি বোর্ড মিটিং করা হয়েছে। সেখানে আমাদের একাডেমিক কাউন্সিল গঠন করা হয়। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে কাউন্সিলে পাঠাবো। একই সঙ্গে বোর্ডের অনুমতি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করবো।

রাইজিংবিডি : ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি সম্পর্কে কিছু বলুন।

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: বর্তমানে কমিশন ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশনের বিষয়টি অফিশিয়াল এবং নন-অফিশিয়াল ভাবেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসির যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে এর মূল কার্যক্রম হচ্ছে ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশন। এ জন্য যেসব কার্যক্রম ও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে সেগুলো সবকিছুই ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশনের অন্তর্ভুক্ত।

রাইজিংবিডি : স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ পুঁজিবাজার গঠনে বাংলাদেশ বিআইসিএম কাজ করে যাচ্ছে। বিআইসিএম এবং বিএএসএম-এর কার্যক্রম কি একই ধরনের হবে ?

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: না। দুটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পূর্ণ আলাদা। বিএএসএম ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশনের প্রতি বেশি নজর দেবে। আমাদের মাস্টার্স, ডিপ্লোমা বা রিসার্চ প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে ফিন্যান্সিয়াল এডুকেশন নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান শেয়ারবাজারে স্থিতিশীল নিশ্চিত করতে শিক্ষিত বিনিয়োগকারী প্রয়োজন। আর বিএএসএম বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে।

রাইজিংবিডি: পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রাখতে কি করা উচিত বলে মনে করেন?

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: হুজুগে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বাজার ভালো রাখা যাবে না। এতে রেগুলেটর যতই শক্ত হোক না কেন। রেগুলেটর সাপ্লিমেন্ট করবে এডুকেশন। এডুকেশনের প্রতি আমাদের ফোকাস থাকবে বেশি। সুতরাং বিনিয়োগের পুর্বে এডুকেশন দরকার। এর মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখার সম্ভাবনা বেশি। বিএএসএম প্রতি বছর লিটারেসির একটি সার্ভে করবে। এর মাধ্যমে কার্যক্রমটি কতটুকু এগিয়েছে তা যাচাই করা যাবে।

রাইজিংবিডি: বিএএসএম-এর প্রোগ্রামগুলো পুঁজিবাজারে উন্নয়নে কীভাবে কাজ করবে?

অধ্যাপক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী: ট্রেডিশনাল প্রোগ্রামগুলো আমরা দু'ভাগে ভাগ করব। এর মধ্যে একটি হচ্ছে -এডুকেশনাল ও অপরটি হচ্ছে লাইসেন্সিং প্রোগ্রাম। লাইসেন্সিং প্রোগ্রামের প্রতি আমরা বেশি নজরদারি দেব। এতে ফান্ড ম্যানেজার, বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং অথরাইজডদের নিয়ে কাজ করা হবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদেরও রাখা হবে। এক কথায় বিএএসএম পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করবে।

এনএফ/তারা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়