শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ: শিক্ষক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মাদ্রসা শিক্ষক হাফেজ আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
কালিগঞ্জ উপজেলার বাজারগ্রামের কফিল উদ্দীন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে ওই শিক্ষকের শয়ন কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাফেজ আনোয়ারুল ইসলাম (৩৩) উপজেলার কালিকাপুর মোড়লপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মোড়লের ছেলে ও কালিগঞ্জ কফিল উদ্দীন হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক।
পুলিশ জানায়, তিন-চার দিন আগে মাদ্রসা শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম তারই মাদ্রাসার ১৬ বছরের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করে। সেই ঘটনার নগ্ন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি গোচর হয়।
এরপর পুলিশ সুপারে নির্দেশে বিষয়টির সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযানে নামেন। বিষয়টির সত্যতা পাওয়ার পর তারা ওই মাদ্রাসা শিক্ষকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় তার কাছ থেকে একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ও দুটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। ওই মোববাইল ফোনে এই শিক্ষার্থীসহ আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে তার বিকৃত যৌনাচারের ধারণকৃত নগ্ন স্থিরচিত্র পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে বহু ছাত্রকে এভাবে বলৎকার করে আসছে। এছাড়া ওই বলৎকারের দৃশ্য তিনি মোবাইলে ধারণ করে শিশু ছাত্রদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আবারও বিকৃত যৌনাচারে লিপ্ত হতে বাধ্য করতেন।
গ্রেপ্তারকৃত মাদ্রাসা শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলাহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ইয়াছিন আলম।
শাহীন গোলদার/সনি
আরো পড়ুন