ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

মেহেরপুরে ফিলিপাইনী গেন্ডারী চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

মেহেরপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ৮ অক্টোবর ২০২১  
মেহেরপুরে ফিলিপাইনী গেন্ডারী চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা

ফিলিপাইনী গেন্ডারী। নিজস্ব ছবি

সম্প্রতি সময়ে মেহেরপুরের মাঠে চাষ হচ্ছে লম্বা-মোটা ও বেগুনী রঙের সুমিষ্ট আখ। যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীসহ সব বয়সের মানুষের কাছে এ আখের চাহিদা থাকায় এ আখ থেকে গুড় কিংবা চিনি হওয়ার সুযোগ থাকছে না। ক্ষেত থেকেই উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। বেশি লাভ দেখে এ আখ চাষে ঝুঁকছেন এলাকার অনেক চাষি।

পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করে কৃষকরা এ আখ চাষ করলেও সঠিকভাবে এর নাম বলতে পারেন না। কেউ বলেন- এটি ফিলিপাইন থেকে আমদানি করা জাত।

তবে কৃষি বিভাগের দাবি এটি গেন্ডারী জাতের আখ। বিগত ৩-৪ সাল ধরে এ আখ অল্প অল্প চাষ হলেও জেলায় কি পরিমাণ এ আখ চাষ হচ্ছে তা কৃষি বিভাগের অজানা। তবে জেলা কৃষি কর্মকর্তার দাবি ৪০ থেকে ৫০ হেক্টরের মত জমিতে এ আখ চাষ হচ্ছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার দীঘিরপাড়া বেলেগাড়ী গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন ও তার প্রতিবেশী বন্ধু সফিকুল ইসলাম গ্রামের রাস্তার ধারে এক বিঘা জমিতে এ গেন্ডারী জাতের আখ চাষ করেছেন।

উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আখ কাটার সময় কার্তিক মাস। কিন্তু প্রায় এক মাস আগেই আখ কেটে দিতে হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যুবক-যুবতী ও কিশোর-কিশোরীদের। প্রতিটি আখ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর প্রতিদিন বিক্রি হয়েছে ৫-৬ হাজার টাকার আখ। লাভ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা।

আখ চাষী উজ্জ্বল হোসেন জানান, লাভজনক জেনে তিনি দুই বছর আগে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রাম থেকে উচ্চ মূল্যে আখ বীজ সংগ্রহ করেন। এক বিঘা জমি লীজ নিতে ১৬ হাজার টাকা খরচ করেন। শিয়ালের হাত থেকে আখ বাঁচাতে তারের নেট কিনেন। এছাড়া বাঁশ ক্রয় ও লেবারসহ তাদের মোট খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। কার্তিক মাস আখ চাষের উপযুক্ত সময়। পুরো এক বছর সময় লাগে আখ চাষে। প্রথম বছর আখ কাটার পর আর ৫০ হাজার টাকা খরচ করলে আরও এক বছর আখ পাওয়া যায়। এ বছর তারা তিন লাখ টাকার আখ বিক্রি করবেন বলে আশাবাদী।

পার্শ্ববর্তী ঝাউবাড়িয়া গ্রামের মুনতাজ আলী বলেন, আখ চাষে ব্যাপক লাভ হচ্ছে দেখে আমিও দেড় বিঘা জমিতে এ আখ চাষ করেছি। এভাবে সাহারবাটি, হরিরামপুর, উজুলপুর, দীঘিরপাড়া, মদনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে অল্প অল্প করে এ আখ চাষ শুরু হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ বলেন, আখের রস ও গুড় শরীরের জন্য উপকারী। এই আখ নরম ও সুমিষ্ট হওয়ায় মানুষ খুব খাচ্ছে। আমরা এ আখ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ আখ রোপণে আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি।

মহাসিন/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়