ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাগুরায় কৃষকের ৩০০ মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৭, ২১ জুন ২০২২  
মাগুরায় কৃষকের ৩০০ মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

মাগুরা সদরের  মির্জাপুর  গ্রামে রবিউল ইসলাম নামের এক  কৃষি উদ্যোক্তার ৫৮ শতাংশ  জমিতে লাগানো প্রায় ৩০০ মেহগনি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২১জুন) ভোরে উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের মিজাপুর  গ্রামে এ  ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় বসিন্দারা জানান, সদরের হাজরাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। তিনি তার বাবার সঙ্গে নানা রকম ফলজ বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে কৃষিকে পেশা হিসাবে বেছে নেন।  এরই অংশ হিসেবে স্ত্রীর নামে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৫৮ শত  জমিতে বছর খানিক  আগে ৩০০ মেহগনি গাছ রোপন করেন রবিউল।  হাজিপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের এক মাঠে এই বাগান গড়ে তোলেন তিনি। তিনি মঙ্গলবার ভোরের দিকে দুর্বৃত্তরা রবিউলের বাগানের তিনশ মেহগনি গাছ কেটে ফেলে।

রবিউল ইসলাম  জানান, কোনো চাকরির পেছনে না ছুটে কৃষি কাজ শুরু করেন তিনি। স্বপ্ন ছিল কষি উদ্যোক্তা হয়ে কৃষকদের ভাগ্যন্নয়ন ঘটানো। ফলজ গাছের চাষের পাশাপাশি নিজের স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭৮ শতক জমিতে মেহগিন গাছ লাগান তিনি।  জমির চারপাশে এই গাছ লাগালেও ভেতরের জমি এক পেঁপে চাষীকে বর্গা দিয়েছিলেন রবিউল।

রবিউল বলেন, ‘শ্বশুড় বাড়ির এলাকায় জমিটি হওয়ায় এখানে আমি কমই আসতাম। গাছ গুলো দেখাশোনা করতেন জমিতে থাকা বর্গা চাষি। ওই কৃষকের সঙ্গে অন্য কারো কারো বিরোধ থাকতে পারে। হয়তোবা সেজন্যই  আমার সব মেহগনি গাছ মাঝ বরাবর কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নেই তবে হিংসাবশত কেউ শত্রুতা করেছে আমার বাগানের গাছের সঙ্গে।  এতে আমার কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ’ 

রবিউলের  বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, এলাকার কারো সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই।  আমরা কৃষক মানুষ সারা বছর ফলমূল চাষ করে দিন চলে যায়। তাই মনে হচ্ছে এটা হিংসা করে আমার সন্তানের এমন ক্ষতি করেছে কেউ। ’

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড . হায়াত মাহমুদ জানান, কৃষি উদ্যোক্তারা আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। তরুণরা কৃষিকে এগিয়ে নিচ্ছে।  সরকার সবসময় তাদের সহযোগিতা করেছে। কিন্তু রবিউলের মতো যদি এরকম কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবে তো হতাশার কথা। এটা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। আমি জেলা প্রশাসেনর সংশ্লিষ্ঠদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। 

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

শাহীন/ মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়