কুষ্টিয়ায় রথযাত্রা ও মেলা শুরু
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুষ্টিয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শহরে মেলার আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি।
আগামী ৮ জুলাই উল্টো রথের মাধ্যমে রথের মেলা শেষ হবে।
মেলাকে কেন্দ্র শুক্রবার (১ জুলাই) সকাল থেকে শুরু হয় দোকানিদের জায়গা দখলের চেষ্টা। এতে শহর জুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এবারের মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাদ্য খই, মুড়ি-মুড়কিসহ বিভিন্ন সামগ্রী বেচা বিক্রি হচ্ছে। মেলায় এবার কোটি টাকার ওপরে বেচা বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি বছরের মত এবারও কুষ্টিয়া শহরের শ্রী শ্রী গোপিনাথ জিউর মন্দির থেকে রথ বের হয়। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে শহরের সরকারি বালিকা বিদ্যালয় সামনে থেকে শুরু করে রাজার হাট মোড় পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার পথ জুড়ে বসে মেলা।
মেলা শতশত নারী-পুরুষ বিভিন্ন জিনিস কিনতে ভীড় করেন। তবে খই মুরকী এবং মহিলাদের প্রসাধনী ও বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনার কদর ছিল সবচেয়ে বেশি। শিশুদের খেলনার মধ্যে ছিল- ঠেলা লাঠি গাড়ি, ঝাঁড় বাতি, বাঁশি, মাটির তৈরি পশু-পাখি, ব্যাংক, পুতুল, শো-পিচসহ বিভিন্ন সামগ্রী।
এবার প্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন দোকান গড়ে উঠেছে মেলায়। মেলায় খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে বেশি বিক্রি হয়েছে খই, মুড়ি, মুরকি, ছাঁচ মিষ্টি, জিলাপি, খুড়মা, পাঁপড়সহ খাদ্য সামগ্রী। মেলায় ভুট্রার খই প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি, ছাঁচ মিষ্টি ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, খুরমা ১৩০-১৫০ টাকা কেজি , জিলাপি ১৩০-১৫০ টাকা, মুরকি ১২০-১৪০, কদমা ১২০-১৪০, দানাদার ১২০-১৪০ টাকা।
হরিনারায়নপুরের খই-মুরকি ব্যবসায়ী ফজলু বেচা বিক্রি ভালোই হচ্ছে বলে জানান।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাঁশের সামগ্রী ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, কুষ্টিয়ায় অনেক বড় রথের মেলা হয় এ কারণে আমরা এসেছি।
হরিনারায়নপুরের জিলাপী ব্যবসায়ী কমল কুন্ডু জানান, বেচাকেনা হচ্ছে তবে ছুটির দিনের কারণে সকালের দিকে লোকসমাগম একটু কম ছিল। রাতে বেচাকেনা বেশি হয়েছে।
মেলায় আসা অনেক নারীকে সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় বটি, কুলা, মোড়া, পিঠা তৈরির ছাঁচ ইত্যাদি কিনতে দেখা যায়।
ক্রেতা জানান, এখানে অনেক ধরনের জিনিস আসে যে জিনিস অন্য সময় কিনতে পাওয়া যায় না। তাই মেলা থেকে এসব জিনিস আমরা কিনে থাকি।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সারাবছর বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও রথের মেলার সময় সামান্য পুঁজি নিয়ে এখানে ব্যবসা করার সুযোগ পান।
কাঞ্চন/ মাসুদ
আরো পড়ুন