ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শতবর্ষী বৃদ্ধার মামলা : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে বিচারক

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শতবর্ষী বৃদ্ধার মামলা : ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে বিচারক

নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত থাকার পরও অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম চালানোর ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে এসেছেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আল মামুন।

বুধবার (০৩ জুলাই) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে ২৬ জুন তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। উচ্চআদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ থাকার পরও অশীতিপর রাবেয়া  খাতুনের মামলার কার্যক্রম চালানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তাকে তলব করা হয়। একইসঙ্গে ওই আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউরকে (এপিপি)হাজির হতে বলা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

এর আগে ৩০ এপ্রিল এক আদেশে হাইকোর্ট ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। মামলার নথি তলব করে বিচার বিলম্বের ব্যাখ্যা দুইসপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছেন আদালত।

পরবর্তী সময়ে ১৫ মে পরবর্তী আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এছাড়া এপিপিকে হাজির হতে বলেন। বুধবার আদালতে অশীতিপর রাবেয়া এবং এপিপি সাহাব উদ্দিন মিয়া আদালতে হাজির হন।

‘অশীতিপর রাবেয়া; আদালতের বারান্দায় আর কতো ঘুরবেন তিনি’ শীর্ষক শিরোনামে ২৫ এপ্রিল দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলো আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে তেজগাঁও থানার এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ২০০২ সালের ২ জুন। মামলা নম্বর ১৯৩৮/০২। এরপর তিনি গ্রেফতার হন এবং ছয় মাস কারাগারে থেকে জামিনও পান। পরে তাকেসহ দুই আসামি জুলহাস ও মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয় মামলার বিচার।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুলাই ২০১৯/মেহেদী/হাকিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়