ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সেই ইয়াবা ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাব চায় দুদক

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২৩ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সেই ইয়াবা ব্যবসায়ীর সম্পদের হিসাব চায় দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত আলোচিত ইয়াবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী পাখির সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ ইস্যু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান পৃথক সম্পদের নোটিশ জারি করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইস্যু করা নোটিশ সূত্রে জানা যায়, ২১ দিনের মধ্যে ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী পাখির যাবতীয় সম্পদ ও তার উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে। নোটিশের চিঠি পাঠানো হয়েছে ঢাকার আশুলিয়ার আরফিন ভিলা নামের একটি বাড়িতে। তবে ইশতিয়াক ও তার স্ত্রী পাখিকে কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নামে ইশতিয়াক পরিবহন ব্যবসায়ী হলেও প্রকৃত অর্থে তিনি ইয়াবা ব্যবসায়ী। মোহাম্মদপুর থানায় রয়েছে তার বিরুদ্ধে মাদক ও হত্যাসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা। পুলিশের খাতায় তিনি পলাতক। অনুসন্ধানে এরই মধ্যে মিলেছে বিপুল সম্পদের খোঁজ। এ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের সম্পদ ও ব্যাংক হিসেবে বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে।

দুদকের অনুসন্ধান সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে ৩০ জুলাই দিয়াবাড়ীতে ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ৮ দশমিক ২৮৩ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে আশুলিয়া থানার বিলমালিয়ায় ৩৪ লাখ টাকার ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ইশতিয়াক দম্পতি। এরই মধ্যে দিয়াবাড়ীতে সাত তলা ও বিলমালিয়ায় এক তলা বিলাসবহুল ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া সাভারের বাইপাল থানায় চার শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। এখানেও ৬ তলা ভবন রয়েছে তাদের। আর এসব সম্পদ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র দুদকের হাতে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ইশতিয়াক ও স্ত্রী পাখির নামে এনআরবি ব্যাংকের আশুলিয়া শাখায় পৃথক হিসাবে ১৪ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৮ টাকা, ৫ লাখ ৬০ হাজার ও ৪৪ লাখ টাকার হদিস পাওয়া যায়। অন্য একটি ব্যাংক হিসেবে মিলেছে সাড়ে ৪ হাজার ডলার।

অন্যদিকে তার দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন ও বিভিন্ন রেকর্ডপত্রে তিনি দাবি করেছেন, তার মাসিক আয় দুই লাখ টাকা, তার স্ত্রীর আয় মাসে ৫০ হাজার টাকা। ভাড়া বাবদ আয় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট মাসিক আয় ৫ লাখ টাকা এবং মাসিক ব্যয় ৬০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে আয়ের সঠিক উৎস পায়নি দুদক। অবৈধ সম্পদকে বৈধ করতেই তিনি পরিবহন ব্যবসায়ীর লাইসেন্স নিয়েছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ জুলাই ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়