ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সম্রাটের রিমান্ড শুনানি দুপুরে

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৫ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সম্রাটের রিমান্ড শুনানি দুপুরে

যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি (বহিষ্কৃত) ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা দুই মামলায় রিমান্ডের আবেদন শুনানি হবে আজ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

মাদক মামলায় সম্রাটের সঙ্গে বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর যুবলীগের নেতা এনামুল হক আরমানকেও গ্রেপ্তার এবং ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন ওপর শুনানি হবে। ইতোমধ্যে সম্রাট এবং আরমানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পাশাপাশি অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন রমনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। মাদক মামলায়  সম্রাটের সঙ্গে বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর যুবলীগের নেতা এনামুল হক আরমানের ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর এ দুই আসামির গ্রেপ্তার ও রিমান্ড আবেদন করা হয়। ওই দিন আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য ৯ অক্টোবর ধার্য করেন। কিন্তু ৯ অক্টোবর সম্রাট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য ১৫ অক্টোবর শুনানির তারিখ ধার্য করেন আদালত।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়। আটকের সময় আরমান মাদকাসক্ত থাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাট জিজ্ঞাসাবাদে জানান, কাকরাইল অফিসে আরো মাদকদ্রব্য ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ তার সহযোগীরা অবস্থান করছে। সেই সংবাদ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে বেলা ১টার দিকে কাকরাইল অফিসে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৫ রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। রুম থেকে ২টি ইলেকট্রিক শক মেশিন ও ২টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সম্রাট।

সম্রাটের বিরুদ্ধে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলে কিংবা কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার ক্যাডার বাহিনী ইলেকট্রিক শক ও লাঠি দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো বলে আবেদনে বলা হয়।

সেখানে আরো বলা হয়, প্রাথমিক তদন্তে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। আরমান ক্যাসিনো সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অবৈধ মাদকের যোগানদাতা। তারা পরস্পর যোগসাজসে ঘটনাস্থলে মাদক সংরক্ষণ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামিরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক, জুয়া ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং অস্ত্র-গুলির রহস্য উদ্ঘাটনে সম্রাট ও আরমানের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তারা।

গত ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে আটক করে র‌্যাব। পরে সম্রাটকে নিয়ে তার রাজধানীর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণির চামড়া পাওয়া যায়। এ চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।


ঢাকা/মামুন খান/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়