ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

কারা ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ২০ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কারা ডিআইজির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে

কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের বিরুদ্ধে কুরিয়ার সার্ভিসে মাধ্যমে অবৈধ লেনদের তথ্যের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষের কোটি কোটি টাকা লেনদেন ও অবৈধ সম্পদের রহস্য উন্মোচনে তাদেরকে রোববার সকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।

জিজ্ঞাসাবাদের বিরতির সময় জানতে চাইলে দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, কারাগারগুলোর দায়িত্বে থাকেন তাদের বিষয়েই মূলত অভিযোগ। অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলমান রয়েছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপেক্ষা করেন আরো তথ্য জানতে পারবেন।

সম্প্রতি তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম এ কাজের দায়িত্ব রয়েছেন। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন ও সালাউদ্দিন আহমেদ।

অভিযোগ রয়েছে বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা স্থানান্তর করতে ডিআইজি প্রিজন (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদ অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন। এক্ষেত্রে কুরিয়ার সার্ভিসকে কাজে লাগান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে সূত্র জানায়, তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারের নামে ২০১৭ সাল থেকেই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি ৯৫৮৮২৫ রসিদে ৫০ হাজার টাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি ৯৫৮১০৮ রসিদে ১ লাখ ২ হাজার টাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ৯৫৮১৪৩ রসিদে ২ লাখ টাকা, ২০ মে ৯৫৯০৬০ রসিদে ১ লাখ টাকা, ২৩ মে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ২৭ মে ৯৫৯১৪১ রসিদে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৫০ টাকা, ৬ জুলাই ৯৫৯৪৬৯ রসিদে ৩ লাখ টাকা, ১৪ জুলাই ৯৫৮৯৭২ রসিদে ১ লাখ টাকা, ২২ জুলাই ৯৫৯৫১২ রসিদে ১০ লাখ ১০ হাজার, ১৬ জুলাই ৯৫৯৪৭০ রসিদে ৩ লাখ টাকা, ৪ মার্চ ৯৫৮২১৮ রসিদে ২ লাখ টাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ৯৫৯৫৪১ রসিদে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪ অক্টোবর ৯৫৯৭৪৯ রসিদে ৬ লাখ টাকা স্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ডিসেম্বর ৯৫৮৪৮১ রসিদে ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, ১৯ মার্চ ৯৫৮৩৪৫ রসিদে ৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, ১১ এপ্রিল ৮৪২১২৮ রসিদে ৩ লাখ টাকা, ২০ নভেম্বর ৮৪২২৩৯ রসিদে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ৯৫৭৬৪০ রসিদে (তারিখ অস্পষ্ট) ২ লাখ টাকা, ২০১৭ সালের ৪ মার্চ ৯৫৮১৬৯ রসিদে ৬ লাখ ৮ হাজার টাকা, (১৬ অক্টোবর সাল অস্পষ্ট) ৮১৭২৩৮ রসিদে ১ লাখ টাকা, (৮ অক্টোবর সাল অস্পষ্ট) ৮১৭১৫৭ রসিদে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৯৫৯৭১৩ রসিদে (তারিখ অস্পষ্ট) ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর ৮১৭২১৭ রসিদে ৩ লাখ টাকা, ১২ অক্টোবর ৮১৭২০৭ রসিদে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা লেনদেন করা হয়।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়