ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

এনামুল ও রূপনের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২২ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এনামুল ও রূপনের বিরুদ্ধে সম্পদের মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার দুই সহযোগী এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার কমিশন থেকে পৃথক দুই মামলা দায়েরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

আগামীকাল বুধবার সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ  মামলা দুটি দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন হয়েছে তারা হলেন- গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু, তার দুই সহযোগী হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদ এবং তার ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক এনু ও তার দুই সহযোগীদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদ প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২৭(১) এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের

সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরি অনুসন্ধান কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ছাড়া অপর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এনামুল হক এনুর ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ২১ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূর্ত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

এর আগে গতকাল জি কে বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী কথিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ও তার মা এবং বহিস্কৃত  যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৩০২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ মামলা করে সংস্থাটি।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কয়েকজন নেতার ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরপরই গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।

টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গির আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরি ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।


ঢাকা/এম এ রহমান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়